ভবানীপুরে শুধু জয়ের হ্যাটট্রিকই করেননি, সেইসঙ্গে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অতীতের মার্জিন টপকে যেমন রেকর্ড ভোটে জিতেছেন, তেমনই তৃণমূলের ভোট ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে পৌঁছে দিয়েছেন প্রায় ৭২ শতাংশে। অন্যদিকে, বিজেপির ভোট নেমে এসেছে ২২ শতাংশে।
মাস পাঁচেক আগে বিধানসভার ভোটে এই ভবানীপুরে তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। আর উপনির্বাচনে মমতা জিতলেন ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে। অর্থাৎ জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ।
শোভনদেবের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৫৭.৭১ শতাংশ। আর মমতা পেয়েছেন ৭১.৯১ শতাংশ ভোট। কার্যত কোনও দাগই কাটতে পারেননি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বিধানসভা ভোটে এন্টালি কেন্দ্রে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে তিনি হেরেছিলেন ৫৮ হাজার ২৫৭ ভোটে। উপনির্বাচনে মমতার কাছে হারলেন ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভবানীপুরে মোট ভোট পড়েছে ১,১৭,৮৭৫টি। পোস্টাল ব্যালট ৭০২টি। এর মধ্যে তৃণমূল নেত্রী পেয়েছেন ৮৪,৭০৯টি ভোট। পোস্টাল ব্যালটে তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৫৪টি। মমতা মোট পেয়েছেন ৮৫,২৬৩ ভোট।
প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬,৩২০ ভোট। পোস্টাল ব্যালটে তিনি পেয়েছেন ১০৮টি ভোট। প্রিয়াঙ্কার পক্ষে মোট ভোট পড়েছে ২৬,৪২৮টি। অর্থাৎ ২২.২৯ শতাংশ।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের শোভনদেব পেয়েছিলেন ৭৩,৫০৫ ভোট। অর্থাৎ ৫৭.৭১ শতাংশ। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষ পেয়েছিলেন ৪৪,৭৮৬টি ভোট। শতাংশের বিচারে ৩৫.১৬ শতাংশ।
এবারও শোচনীয় ফল হয়েছে সিপিএমের। বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছিল। সেবার বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫,২১১ ভোট অর্থাৎ ৪.০৯ শতাংশ। আর উপনির্বাচনে বাম প্রার্থী পেয়েছেন ৪,২০১টি ভোট। অর্থাৎ ৩.৫৬ শতাংশ ভোট।