সব্যসাচী দত্ত, বিধায়ক ও বি জে পি নেতা
সেই শিশু অবস্থায় বাবার হাত ধরে প্রথম গিয়েছিলাম প্রভু জগন্নাথ দর্শনে। আমরা গিয়েছিলাম সপরিবারে। তখন আমি স্কুলের ছাত্র।সেই কতদিন আগের কথা। সেই সময়ে আমরা খিদিরপুরের বাসিন্দা ছিলাম। একটা ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র ছিলাম। ট্রেনে গিয়েছিলাম পুরীতে।সেই সময় থেকেই আমি প্রভুর ভক্ত। কতবার গিয়ে তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছি।
আনন্দে-দুঃখে, প্রভু জগন্নাথের কাছে সব সময়েই আমার প্রণাম নিবেদন করি। তিনি বিশ্বের রক্ষাকর্তা। তিনি জীবিত দেবতা। তাঁর আশীর্বাদে সারা পৃথিবীর মঙ্গল হয়। তিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবারই আরাধ্য। সব মানুষকেই তিনি আশীর্বাদ করেন।
পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির ও দেবতার অপার মহিমা। আমি তা গত পঞ্চাশ বছর ধরে অনুভব করেছি। এই অনুভুতি প্রাণের, হৃদয়ের। সে মহিমা ব্যাখ্যার অতীত। আমি শুধু তাঁর কোটি কোটি ভক্তের মত তা অনুভব করি জীবনের প্রতি মুহূর্তেই।
জগন্নাথ দেব মন্দিরের প্রধান দৈতাপতি রাজেশ দৈতাপতি আমার গুরুজী। তিনি দেবতার সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর চিন্তাই একমাত্র প্রভুকে নিয়ে। তাঁর অগণিত শিষ্য। আমি তাঁদেরই একজন মাত্র।
আমি আজ আমার পরিবারের সঙ্গে যাই প্রভু জগন্নাথের দর্শনে। সেই কতদিন আগে বাবার হাত ধরে গিয়েছিলাম। দেবতা আমার প্রভু সেই থেকে।আমি আজ তাঁর কাছে প্রার্থনা করি, প্রভু মানব সমাজকে রক্ষা কর হে দেবতা। মানুষের আজ বড় বিপদ। তুমি বিশ্বের রক্ষাকর্তা। বাঁচাও, রক্ষা কর ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা এই পৃথিবীকে।
রথ যাত্রা হোক নির্বিঘ্নে, এই প্রার্থনা। প্রভুকে আমার শত কোটি প্রণাম।