সল্টলেকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে হয়ে গেল ‘আনন্দধ্বনি’র বার্ষিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের পাশাপাশি নচিকেতা শোনালেন তাঁর নতুন কিছু গান। আর গানের সঙ্গে মিশিয়ে দেন গজলও, যা তাঁর অনুষ্ঠানে অন্যমাত্রা এনে দেয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি “ভ্যালেন্টাইনস ডে’ বা ভালোবাসার দিবসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নচিকেতা বললেন, “একদিন প্রেম দিবস হলে, অন্য দিন কি সবাইকে ঘৃণা করব? আমার কাছে সব দিবসই তো প্রেমের ভালোবাসার…।”

পাঠচক্র বাঙ্গুরের শিল্পীদের পরিবেশনায় মঙ্গলাচরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সারা বছরের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আনন্দধ্বনির কয়েকজন সদস্যকে সংবর্ধিত করা হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, ভারত সরকারের আইসিসিআরের প্রাক্তন পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা গৌতম দে, বর্ষীয়ান চিত্র পরিচালক অমলেশ দাশগুপ্ত, কর্পোরেট জগতের পরিচিত ব্যক্তিত্ব চন্দন ঘোষ চৌধুরী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তা উজ্জ্বল বাবু প্রমুখ।
আনন্দধ্বনির সভাপতি অরূপ সিনহা বললেন, আনন্দধ্বনি শুধুমাত্র একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা নয়, সংস্থার সদস্যরা কখনও বৃদ্ধাবাসে গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান, তাঁদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন, আবার কখনও অসহায় মানুষের প্রতি বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।
সংস্থার সম্পাদিকা জয়তী চক্রবর্তী জানালেন, তাঁর স্বামী প্রয়াত শিল্পী অঞ্জন চক্রবর্তীর স্মৃতিতে প্রতি বছর এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিশিষ্ট অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আনন্দধ্বনির প্রথম বার্ষিকী পত্রিকা। অনুষ্ঠানে অংশ নেন, সঙ্গীত শিল্পী ভাস্বতী দত্ত, বাচিক শিল্পী সৌমিত্র ঘোষ প্রমুখ।