আয়কর ছাড় নিয়ে আমজনতার প্রত্যাশা পূরণ হল না। এবারও আয়করে কোনওরকম ছাড় দিলেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অর্থাৎ আগে যে হারে আয়কর দিতেন দেশবাসী, এবারের বাজেটে তার কোনও হেরফের ঘটালেন না নির্মলা।
ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কর রিটার্ন পেশের পর তাতে কোনওরকম ভুল থাকলে, তা সংশোধন করে করদাতারা দু’বছরের মধ্যে রিটার্ন ফাইল দাখিল করতে পারবেন।
অন্যদিকে, ভার্চুয়াল, ডিজিটাল সম্পদ বিক্রি বা অধিগ্রহণ থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর বসানো হয়েছে। কো-অপারেটিভ সোসাইটির করের হার করা হয়েছে ১৫ শতাংশ।
জাতীয় পেনশন প্রকল্প বা এনপিএস-এর ক্ষেত্রে করছাড় ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে এতদিন যে বৈষম্য ছিল, তা দূর করার কথা জানিয়েছেন নির্মলা।
স্টার্ট-আপ ব্যবসার ক্ষেত্রে উদ্যোগপতিরা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, এক বছরের ‘ট্যাক্স ইনসেন্টিভ’ পাবেন।
২০১৪ সালের পর আর ব্যক্তিগত আয়করের কাঠামো পরিবর্তিত হয়নি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে আয়করের সীমা ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল।
কত টাকা বার্ষিক আয় হলে কত টাকা কর দিতে হয়?
১) ০-২.৫ লাখ – কোনও কর দিতে হয় না।
২) ২.৫ লাখ-৫ লাখ – ৫ শতাংশ।
৩) ৫ লাখ-৭.৫ লাখ – ১৫ শতাংশ।
৪) ৭.৫ লাখ-১০ লাখ – ২০ শতাংশ।
৫) ১০ লাখের বেশি – ৩০ শতাংশ।