জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি দেবেন। সেই অনুযায়ী, আগেই সব কিছু ঠিক করা ছিল। কিন্তু পেনশনভোগীদের দেখাই করলেন না উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক।
EPS 95 ন্যাশনাল Agitation কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রেসিডেন্ট তপন দত্তের অভিযোগ, “বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে শুক্রবার আমরা ধরনা এবং ডেপুটেশনের কর্মসূচি নিয়েছিলাম। জেলাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছিল। আগে থেকে তা আমরা জানিয়েও ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল, আমাদের চিঠি গ্রহণ করার সময় পেলেন না জেলাশাসক।”
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদাসীনতায় EPS 95-এর আওতায় থাকা পেনশনভোগীরা চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। বার্ধক্যজনিত নানান শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও এখন তাঁরা পথে নেমেছেন।
তপন দত্তের অভিযোগ, “হেমামালিনীকে সঙ্গে নিয়ে ২ বার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছে। শ্রম মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী সবাই শুধু আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”
তিনি বলেন, “আমাদের দুটি প্রধান দাবি হল ইপিএস-এর আওতায় নূন্যতম পেনশন 7500 টাকা সঙ্গে ডি এ দিতে হবে। ইপিএস সদস্যদের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসার সব ধরনের সুবিধা দিতে হবে।”
৩০ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্র ব্যবস্থা না নিলে, তাঁরা আরও বড় আন্দোলনের পথে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই পেনশনভোগীরা।