আবারও এক অভূতপূর্ব বিক্ষোভের সাক্ষী হয়ে রইল তিলোত্তমা। ফুটবল মাঠে যতই বৈরিতা থাক, আজ সবকিছুকে দূরে সরিয়ে এক বেনজির বিক্ষোভে সামিল হলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জ, প্রবল বৃষ্টি কোনও কিছুই দমাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান সমর্থকদের। বিক্ষোভের মধ্যেই সমর্থকরা স্লোগান দিলেন, তাঁরা ১০-০ গোলে হারিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটি ছবিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, মোহনবাগান আলট্রাসের জার্সি পরা এক ব্যক্তির কাঁধে বসে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরিহিত এক সমর্থক। আর পিছনেই উড়ছে ভারতের জাতীয় পতাকা।
একজনের হাতে ইস্টবেঙ্গলের পতাকা, একজনের হাতে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের পতাকা আর অন্যজনের হাতে মোহনবাগানের পতাকা – বাংলার তিন প্রধানের সমর্থকদের এই ছবিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অতীতে যা কখনও ঘটেনি, তা ঘটল রবিবার। আর জি কর চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা মিলিয়ে দিল তিন প্রধানের সমর্থকদের।
যুবভারতীতে আজকের ডার্বি আগেই বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পিছু হঠেননি কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল দলের সমর্থকরা। যুবভারতী সংলগ্ন এলাকায় রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা অবধি ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু বিকেল হতেই কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকরা জড় হতে থাকেন সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে।
ফুটবলপ্রেমীদের পুলিশের পক্ষ থেকে ভিআইপি গেট থেকে ২০০ মিটার দূরে সরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছিল। সেটা মেনে তাঁরা ভিআইপি গেট থেকে দূরে সরে যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফুটবলপ্রেমীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বাইপাস চত্বর। বেশ কয়েকজন ফুটবলপ্রেমীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। রেহাই পাননি মহিলা সমর্থকরাও। তাঁদের উপরও লাঠিচার্জ করা হয়। শুধু যুবভারতী, শিলিগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তিন প্রধানের সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিল করেন।