বিশেষ প্রতিনিধি : ওই কবিই তো বলেছিলেন, “যেতে পারি কিন্তু কেন যাব?” অথচ ২৬ বছর আগে দুম করে বীরভূমের লাল মাটিকে সাক্ষী রেখে ঠিকানা বদলে ফেলেছিলেন। তাঁর যাওয়া আসা জীবনেও ছিল এরকমই। আসছি, বলে জলদাপাড়া, কী ধলভূমগড়ের কোনও প্রান্তে তিনি চলে যেতেন অক্লেশে।
গভীর রাতে কলকাতা শাসন করার অধিকার তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল এই শহর। শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কত গল্প ছড়িয়ে এই শহরের রাজপথ, অলি গলিতে। তাঁর বন্ধুদের হিসেব করা কঠিন। মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ, চা বা পানীয় বিক্রেতা, ট্যাক্সি চালক, বিপ্লবী, ছাত্র, উপাচার্য, শেষ হবে না। আর ওঁর কবিতার ভক্ত কোটি কোটি।
কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ার কথা, ওঁর কবিতার বইয়ের চাহিদা আজও একই রকম। ওঁর বন্ধু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, এই দুজনেরই কবিতায় বাঙালি মজে আছে, ভুল নেই তাতে।
জীবনানন্দের কবিতা আজও সমান ভালোবাসা পায় অনুরাগী পাঠকের কাছে সেটাও ঘটনা । সোজা কথায়, এত কিছুর পরেও কবিতার মৃত্যু হয়নি এই বাংলায়। বেঁচে আছেন একইরকমভাবে শক্তি থেকেই যাবেন।