বিশ্ব হেড-নেক ক্যান্সার দিবস (২৭ জুলাই) উপলক্ষে শনিবার স্টুডেন্টস’ হেলথ হোম, কলকাতা তাদের প্রথম ‘কন্টিনিউয়িং মেডিক্যাল/ডেন্টাল এডুকেশন’ অনুষ্ঠানের করা হয়। ভারতে পুরুষদের মধ্যে হেড-নেক ক্যান্সার হল অন্যতম প্রধান ক্যান্সার এবং পূর্ব ভারতে হেড-নেক ক্যান্সারের মধ্যে মুখের ক্যান্সারই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এই রোগগুলি মূলত জীবনধারাজনিত। এই ধরনের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হল, তামাকের ব্যবহার। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষ। আর্থিক সীমাবদ্ধতা বা পেশাগত ব্যস্ততায় এবং সচেতনতার অভাবে তাঁরা সাধারণত দেরিতে চিকিৎসা করাতে আসেন। এই ক্যান্সারগুলির চিকিৎসা সাধারণত মুখ মন্ডলের বড় বড় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হয়, মুখাবয়বের পরিবর্তন ঘটে, যা রোগী এবং তাঁর পরিবারের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ও মুখের চেহারা চলনসইভাবে রক্ষার জন্য উচ্চমানের প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন হয়।
এই অনুষ্ঠানে বক্তারা ক্যান্সারের কারণ ও বিকাশ, নির্ণয় এবং চিকিৎসা (অঙ্কোসার্জারি, পুনর্গঠন, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি) নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অধ্যাপক ডাঃ প্রদীপ মিত্র।
রাজ্যে স্টুডেন্টস’ হেলথ হোম-এর ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে। রাজ্যব্যাপী একটি ওরাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি চালুর কথা ভাবছে এই সংস্থা। এই উদ্যোগে সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি হল “ট্রেন দ্য ট্রেইনার্স”, অর্থাৎ অচিকিৎসকদের নিয়ে এমন একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা, যাঁরা ওরাল ক্যান্সারের লক্ষণ চিহ্নিত করতে পারবেন। এই উদ্যোগের ফলে রোগ দ্রুত ধরা পড়বে ও সফলভাবে চিকিৎসা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, SHH আরও কঠোরভাবে তামাক বিক্রি ও ব্যবহারে বিধিনিষেধ আনার জন্য সচেষ্ট হবে এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজ করবে, যাতে তারা অল্প বয়সেই ক্ষতিকারক তামাকের অভ্যাসে না জড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠান শেষে চিকিৎসকদের হাতে শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হয়।