খড়গপুর আইআইটি-র প্রাক্তনী তথ্য-প্রযুক্তির দুনিয়ায় অন্যতম আলোচিত নাম। গুগ্লের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই। গত বছর তিনি কত বেতন পেয়েছেন জানেন? শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে।
গত বছর ভারতীয় মুদ্রায় তিনি বেতন পেয়েছেন 1884 কোটি 39 লাখ 13 হাজার 900 টাকা, যা গোটা বিশ্বের প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ ২০২২ সালে তাঁর দৈনিক আয় ছিল পাঁচ কোটি টাকা।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি চাকরি করেছিলেন অ্যাকসেনচার সংস্থায়। ২০০৪ সালে গুগ্লে যোগ দেন পিচাই। ২০১৯ সালে তিনি গুগ্লের সিইও পদে নিযুক্ত হন।
তবে স্ত্রীর পরামর্শ না শুনলে, আজ তিনি হয়তো এই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পারতেন না। বলতে গেলে, স্ত্রীর একটি পরামর্শই তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে।
খড়্গপুর আইআইটি থেকে মেটালার্জিতে বি-টেক করা পিচাইয়ের জন্ম ১৯৭২ সালের ১০ জুন, তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে। তবে বড় হয়েছেন চেন্নাইয়ে।
আইআইটি থেকে পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমেরিকারই হোয়ার্টন স্কুল থেকে এমবিএ পাশ করেছিলেন তিনি।
স্ত্রী অঞ্জলির সঙ্গে তাঁর পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা সবকিছু আইআইটি খড়্গপুরেই। তবে অঞ্জলির সঙ্গে তাঁর প্রেম পর্ব বন্ধুদের কাছে গোপনই রেখেছিলেন পিচাই। কলেজের শেষ পর্বে এসে পিচাই নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। তার পর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল।
কলেজের চতুর্থ বর্ষেই অঞ্জলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পিচাই। তাতে রাজি হয়ে যান তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে পিচাই জানিয়েছিলেন, তখন স্মার্টফোন ছিল না। তাই প্রায়ই অঞ্জলির হস্টেলে চলে যেতেন তিনি।
অঞ্জলি রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা। তাঁর বাবা কোটার সরকারি পলিটেকনিক কলেজে চাকরি করতেন।
বিয়ের পর দুজনে আমেরিকা পাড়ি দেন। তাঁদের একটি পুত্র এবং একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, নাম কাব্য এবং কিরণ।
এক সাক্ষাৎকারে পিচাই জানিয়েছেন, অঞ্জলির পরামর্শেই আজ তিনি গুগ্লের অভিভাবক সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও। এক সময় গুগ্লের চাকরি ছেড়ে মাইক্রোসফ্টে যোগ দিতে চেয়েছিলেন পিচাই। তাঁর কাছে আরও কয়েকটি সংস্থায় চাকরির প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু অঞ্জলির পরামর্শে তিনি শেষ পর্যন্ত গুগলেই থেকে যান।
