অলিম্পিকে ইতিহাস গড়লেন নীরজ চোপড়া চোপড়া। জ্যাভলিনে দেশকে সোনা এনে দিলেন নীরজ। সেইসঙ্গে ১০০ বছরের খরা কাটল।
১৩৫ কোটির দেশে এই প্রথম অ্যাথলেটিক্সে পদক পেলেন কোনও ভারতীয়। এর আগে অ্যাথলেটিক্সে ব্রোঞ্জ পদকও জিততে পারেনি ভারত। নীরজের এই সাফল্যের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার জ্যাভলিনের ফাইনালে নীরজ ছুঁড়েছেন ৮৭.৫৮ মিটার।
অলিম্পিকের শুরু থেকেই নীরজকে নিয়ে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেশবাসীকে নিরাশ করেননি ২৩ বছরের এই সেনা অফিসার।
শনিবারের আগে পর্যন্ত অলিম্পিক্সে মাত্র ৯টি সোনা ছিল ভারতের। এর মধ্যে আটটিই ছিল হকিতে। ব্যক্তিগত বিভাগে ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে শুটিংয়ে একমাত্র সোনা জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা।
শনিবার শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিলেন নীরজ। প্রথমবার ৮৭.০৩ মিটার ছুড়ে অন্যদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে যান। এরপর দ্বিতীয়বার তিনি ছোড়েন ৮৭.৫৮ মিটার।
অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন প্রয়াত মিলখা সিংহ, পি টি ঊষা, অঞ্জু ববি জর্জ, বিকাশ গৌড়ার মতো ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চতুর্থ স্থান নিয়েই তাঁদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
১২১ বছর পরে অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে তৃতীয় পদক পেল ভারত। প্রথম দুটি পদক জিতেছিলেন, নর্ম্যান প্রিচার্ড। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয়। ১৯০০ সালে প্রিচার্ড প্যারিস অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে দুটি রুপোর পদক জিতেছিলেন। ২০০ মিটার দৌড় এবং ২০০ মিটার হার্ডলসে রুপো জিতেছিলেন তিনি। তাঁকে বাদ দিলে নীরজ চোপড়ার জ্যাভলিনে পদক জয় ভারতীয় হিসেবে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম।
ব্যক্তিগত বিভাগে প্রিচার্ড এবং নীরজকে বাদ দিলে মোট ১৯ জন ভারতীয় পদক জিতেছেন। কিন্তু অ্যাথলেটিক্সে কেউ পদক জিততে পারেননি।
নীরজের জন্ম ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে, হরিয়ানার পানিপথের এক কৃষক পরিবারে। স্থূলকায় ছিলেন। ১২ বছর বয়সে তাঁর ওজন দাঁড়ায় ৯০ কেজির বেশি।ওজন কমানোর লক্ষ্যে বাবা-মা জোর করে মাঠে পাঠাতে থাকেন। বাড়ির পাশেই শিবাজি স্টেডিয়ামে প্রতিদিন সকালে জগিং করতে যেতেন তিনি। সেখানেই প্রাক্তন জ্যাভলিন থ্রোয়ার জয় চৌধুরীর সঙ্গে নীরজের পরিচয় হয়। জয়ের হাত ধরেই জ্যাভলিনে নীরজের হাতেখড়ি।