দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের আয়োজনে নদীয়ার বীরনগরের জয়পুর গ্রামে আজ রথযাত্রার প্রত্যাবর্তন যাত্রা হল। কয়েক বছর ধরে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এই সংগঠনটি ফলের গাছ বিতরণ করে আসছে। গত বছর থেকে সংগঠনটি চারাগাছ বিতরণ ও রোপণ শুরু করেছে। এ বছর ৩৩০টি পরিবারকে উন্নত জাতের আম এবং সবেদাগাছ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
রথযাত্রার আয়োজক তথা শিক্ষক মিলন খামারিয়া বলেন, “প্রতি বছর গ্রামের পথ বেয়ে রথ যাবে। সেই পথ জুড়ে সবুজ শ্যামলিমায় হবে আনন্দ যাত্রা, সেইজন্যই গ্রামের সকল মানুষকে আমরা ফলের চারা দিচ্ছি, লাগাতে অনুরোধ করছি, নিজেরাও লাগিয়ে দিচ্ছি।”
সংগঠনের মূল কাণ্ডারী অধ্যাপক ড. কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, “প্রকৃতিই আমাদের নিকট জগন্নাথ। এই প্রকৃতি থেকে আমরা অপ্রাকৃতিক স্তরেও জগন্নাথ দেবের কাছে পৌঁছবো। সীমার মধ্যে অসীম। রূপ থেকে অরূপে। তিনিই সব হয়েছেন, তিনিই চৈতন্য স্বরূপ। উদ্ভিদ-চৈতন্যকে আমরা মানবের মানস-চৈতন্যে প্রোথিত করতে চাই। তাই রথে আমরা সতেজ সবুজ গাছ বিতরণ করেছি।”
দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের পক্ষ থেকে জানা গেছে, আগামী ২৭ শে জুলাই কলকাতার অদূরে খড়দহের সুখচরে কাঠিয়াবাবার আশ্রমে তারা ‘স্বদেশী বার্তা’ পত্রিকার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করেছে ‘নমামি গঙ্গে’-র মতো গঙ্গারতির কার্যক্রম। মূল উদ্দেশ্য, গঙ্গাদূষণের বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। এই কল্যাণ মন্দির প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় সাহিত্য-সংস্কৃতি-গৌরব সম্পাদনী সভার আয়োজন করে থাকে।