হীরক কর : কাজে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠলো এবার কলকাতা পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার কলকাতা পুরসভায়। কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকেই মূলত তিন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কাজ ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করেন মেয়র। এর পরেই ২১, ২৬ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওপর বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেন মেয়র।
এ দিনের বৈঠকে মেয়র সহ উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভায় কনটেনমেন্ট জোনের ১২ জন পৌর প্রতিনিধি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজাবাজার, বেলগাছিয়া, কাশীপুর, হাতিবাগান সহ কনটেনমেন্ট জোনের কাউন্সিলাররা। ছিলেন বোরো চেয়ারম্যানরাও।
এ দিনের বৈঠকে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ওয়ার্ড গুলির কাজের পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকেই বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলরদের কাজের গাফিলতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। বৈঠক চলাকালীন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই তিন কাউন্সিলর কে ভৎসনা করেন।
এদিন বৈঠক শেষে মেয়র জানান, ‘২১, ২৬ এবং ২৭ এই তিন ওয়ার্ডের ওপর বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক বস্তি এলাকাতেই যান নি স্থানীয় কাউন্সিলর। অনেক সময় অন্যের কথা শুনে রিপোর্ট দিয়েছেন। কিছু কাউন্সিলরের মাইক্রো প্লানিং এর ভুল ছিল। অনেকে নিজের এলাকার বস্তিতেও ঢোকেননি।’ মেয়রের কথায়, ‘এমন ভাবে চলতে থাকলে কোনদিনও রেড জোন গ্রিন জোনে আনা যাবে না।’
শহরে করোনা রোধে কোন ‘কম্প্রোমাইজ’ করা হবে না, তা এদিন স্পষ্ট ভাবেই কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে দেন মেয়র। কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘অনেকের এলাকায় বস্তি আছে, কিন্তু সেখানে মাইক্রো প্ল্যানিং করছেন না কেন ? মাইক্রো প্ল্যানিং কড়া করুন। তথ্য গোপন করবেন না। খাবার দেওয়া নিয়ে রেষারেষি খেলা বন্ধ করুন। রাজ্য সরকার যথেষ্ট পরিমাণেই ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। সেখানে রেষারেষি করে খাদ্য সামগ্রী দান করতে গিয়ে অন্য কাছে অবহেলা করলে চলবে না।’
প্রসঙ্গত, শহরে করোনা মোকাবেলায় ‘মাইক্রো প্ল্যানিং’ পদ্ধতিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কলকাতা পুরসভাতেও। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে একযোগে এই কাজ শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুলিশ।
জানা গেছে , এক একটি বস্তি এক একটি প্রেমিসেস ধরে কোয়ারেন্টাইন করা হবে। যদিও এবিষয়ে মেয়র জানিয়েছিলেন, ‘শুধুমাত্র বস্তি নয়। রেললাইনের পাশের ঝুপড়ি, শ্রমিক আবাসন সহ বিভিন্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে। কলকাতা পুরসভার আওতাধীন গোটা এলাকাতেই নজরদারি চালানো হবে।’