বিশেষ সংবাদদাতা : পুজো-পার্বণে মানুষ উপোস করে। একথা আমাদের অজানা নয়। শরীর ফিট রাখতে নিয়ম মেনে সপ্তাহে বা মাসে একবার উপোস করেন, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এই নিয়মের ব্যতিক্রম নয় বাঘ-সিংহ-হায়নারৃ মত মাংসাশী প্রাণীরাও। জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানায় সপ্তাহে একদিন বাঘ-সিংহদের মাংস দেওয়া হয় না। সেদিন এই মাংসাশী প্রাণীদের অভুক্ত রাখা হয়। এই নিয়ম মেনে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বৃহস্পতিবার মাংসাশী প্রাণীদের মাংস দেওয়া হয় না। কারণ সেদিন চিড়িয়াখানার গেট দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে।
এই ব্যাপারে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, মানুষ আর জন্তু-জানোয়ার, সবার ক্ষেত্রেই উপোসের কারণ একই, অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্রকে অন্তত সপ্তাহে একদিন বিশ্রাম দেওয়া। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা ডঃ আশিস সামন্ত জানিয়েছেন, শীতের মরসুমে দিনে ১২০ থেকে ১৩০ কেজির মত মাংস লাগে। গরমের সময় তা ৯০ থেকে ১০০ কেজিতে নেমে আসে। কারণ, গরমকালে মাংস খাওয়ার ইচ্ছে অনেকটা কমে আসে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার পর চিড়িয়াখানার দৈনন্দিন কাজকর্মের ওপর বিশেষ নজর রাখছেন। কখনও কখনও নিজেই ছুটে যাচ্ছেন চিড়িয়াখানায়।
সাধারণত শীতের মরসুমে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। এবার এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। কারণ, এবার যেভাবে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে, বিগত বেশ কয়েক বছরে তেমনটি দেখা যায়নি।