হোমঅন্যান্যপ্রশাসনিক উদাসীনতা, কবি যতীন্দ্রনাথের বাসভূমিতেই মিলছে না লাইব্রেরির জায়গা

প্রশাসনিক উদাসীনতা, কবি যতীন্দ্রনাথের বাসভূমিতেই মিলছে না লাইব্রেরির জায়গা

প্রশাসনিক উদাসীনতা, কবি যতীন্দ্রনাথের বাসভূমিতেই মিলছে না লাইব্রেরির জায়গা

মলয় দে, শান্তিপুর : ১৮৮৭ সালের ২৬ শে জুন যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের জন্ম। নদীয়া জেলার শান্তিপুরে তাঁর পৈত্রিক বাসভূমি। অনেকের মতে, কবির জন্ম হয়েছিল বর্ধমান জেলার কানলা ২ নম্বর ব্লকে পাতিল পাড়া গ্রামে। ওই এলাকারই সিংঙেরকোণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কেনাবেচা দেখে তাঁর বিখ্যাত “হাট”কবিতাটি লিখেছিলেন যতীন্দ্রনাথ। সরকারি সহযোগিতায সেখানে় তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি, গবেষণাগার স্থাপিত হয়েছে।

কিন্তু শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর মূল বাড়িটি অবহেলার শিকার। দেখভালের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে এখানে চার পাঁচটি পরিবার বসবাস করে আসছে। 1954 সালে কবির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর ১৬ বছর পর এখানে এসেছিলেন কবির কনিষ্ঠ সন্তান সুকর্ণ সেনগুপ্ত। তাঁর পিতার একটি স্মারক স্থাপন করার জন্য। এরপর এসেছিলেন1982 সালে। তখন ওই বাড়িতে বাস করা প্রত্যেককে কবিপুত্র বলেছিলেন, যতীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত এই ভিটে বিক্রি করা হবে না। কবির সন্তানরা এখন আর বেঁচে নেই। তাঁদের পরিবারের কোনও সদস্যও যোগাযোগ করেননি। এলাকার বাসিন্দারাও কবির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

শান্তিপুরের বেশ কিছু মানুষের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে যতীন্দ্রনাথ স্মৃতি রক্ষা কমিটি। কমিটির সদস্যরা চাইছেন, কবির পৈতৃক ভিটেতে তৈরি হোক একটি লাইব্রেরি, কবির মূর্তি এবং একটি সংগ্রহশালা। তবে বাড়ির বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে, যা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছাড়া দূর করা সম্ভব নয়। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং বিডিও-র নজরে আনা হয়েছে।

স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি সুমন্ত ব্যানার্জি জানান, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনওরকম ফলপ্রসূ আলোচনা এগোচ্ছে না। তবে প্রশাসনিক সহযোগিতায় সমস্যা কাটবে বলে তাঁর আশা।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img