বিশেষ প্রতিনিধি : আজ তাঁর জন্মদিন। সেদিনের মুখ্যমন্ত্রী দাপুটে নেতা, বাংলার রূপকার ছিলেন এই বিখ্যাত চিকিৎসক।
তাঁরই চেষ্টায় গড়ে উঠেছিল আজকের সাজানো বিধাননগর। এখন সেই উপনগরী সল্টলেক নামেই পরিচিত। তাঁর নামে আছে শুধু বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। আর একটি মূর্তি।
![](https://kolkatanewstoday.com/wp-content/uploads/2020/07/Unknown-1-1-1024x768.jpeg)
গোটা এলাকাটা ছিল ভেড়ি। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবের চেহারা দিতে গঙ্গা থেকে পাইপে করে বালি এনে জলা ভরিয়ে জন্ম নিয়েছিল এই উপনগরী। তাই অনেকেই বলেন সল্টলেক। আগে ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার একটা মহকুমা। এখন সে নিজেই উপনগরী। পোস্টাল ঠিকানা কলকাতা-700106।
বিশিষ্ট মানুষদের ঠিকানা এই সল্টলেক। বহু বিখ্যাত বেসরকারি ও বিভিন্ন সরকারি অফিস, স্কুল, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং এশিয়ার সব থেকে বড় স্টেডিয়ামের ঠিকানা এই সল্টলেকই।
![](https://kolkatanewstoday.com/wp-content/uploads/2020/07/Unknown-2-1-1024x768.jpeg)
পুরনো বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, তাঁরা প্রায় বন কেটে বসত করেছিলেন । সামান্য ক’ঘর বাসিন্দা ছিলেন। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক এখানে, তাই ছিল বিধান রায়ের ইচ্ছা।
সেদিন পাকা পথ ছিল না, টিমটিম করে আলো জ্বলত। সন্ধ্যায় শেয়াল ডাকতো, হায়নাও ছিল। অনেক সাপ, বিছে, ভাম, নেউল রাও দিব্যি ছিল। বিকেলের পরে কেউ বাইরে বেরোতেন না। আর ছিল মশা। দিনের বেলায়ও নাকি মশারি টাঙিয়ে থাকতে হত।
তবে এঁরা ছিলেন শান্তিতে। নির্জন , নিঃশব্দ , ঝিঁঝির ডাক, গাছে গাছে কত পাখি- পাখালি। সেসব দিনের কথা বলতে গিয়ে তাঁদের আজও ক্লান্তি নেই। কিন্তু সে কালের বিধান নগরের গল্প বলা মানুষ আজ আর মাত্রই দু-একজনকে মিলবে।
প্রবীণ বাসিন্দাদের ক্ষোভ, উপনগরীর চরিত্র পুরো বদলে গেছে। বহু মধ্যবিত্ত বাঙালি বেআইনিভাবে জমি, বাড়ি বেচে অন্য এলাকায় চলে গেছেন। কিনেছেন একদল বেআইনি পথেই। আজ এই
বেআইনি কেনাবেচা নাকি একেবারে খুল্লম খুল্লা। এখানে কান পাতলেই সে সব কথা শোনা যায়।
বিধান নগর কর্পোরেশনের ভেতরে ও বাইরে নানা রাজনৈতিক নাটক পালা বদলের কথা বলতে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ ঝরে পড়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, কেন এত খারাপ হাল হলো এই সল্টলেকের..?
আমফানের পরে বেহাল দশা আজও বহু এলাকায় বহাল। কোভিড ছড়িয়ে পড়েছে গোটা সল্টলেকে। ডেঙ্গু শুরু হল বলে। সাজানো কর্পোরেশনের বাড়িতে বসে কর্তারা কি করছেন..? জঞ্জাল সাফাই , জমা জল পরিষ্কার , রাস্তা, বেহাল পার্কগুলোকে ঠিক করার কাজ কেন হচ্ছে না.? কর সংগ্রহের বিষয়ে এত জটিলতা কেন, এই প্রশ্নের উত্তর তাঁরা পাচ্ছেন না।এই বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে জোগাযোগ করেও উত্তর মেলেনি।
আজকের দিনেই আমাদের ফটোগ্রাফার সল্টলেকের হালহকিকতের যে ছবি তুলে ধরেছেন, আমরা তার মাত্র কয়েকটি তুলে ধরলাম। সল্টলেকের বাসিন্দাদের অনুরোধ, আপনারাও বলুন, ছবি পাঠান।আমরা আপনাদের পাশেই থাকতে চাই।