হোমদেশExclusive : অক্সিজেনের হাহাকার! ৬ মাস আগে টেন্ডার ডেকেই দায় সেরেছে কেন্দ্র

Exclusive : অক্সিজেনের হাহাকার! ৬ মাস আগে টেন্ডার ডেকেই দায় সেরেছে কেন্দ্র

Exclusive : অক্সিজেনের হাহাকার! ৬ মাস আগে টেন্ডার ডেকেই দায় সেরেছে কেন্দ্র

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় নাজেহাল রাজ্য সরকারগুলি অক্সিজেনের জন্য কেন্দ্রের কাছে কাতর আর্তি জানাচ্ছে? যত লোক করোনায় মারা যাচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে অক্সিজেন না পাওয়ার কারণে। অক্সিজেনের জোগান স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হলে, এভাবে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি হত না। অনেক অমূল্য জীবন রক্ষা করা যেত।

বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্র অক্সিজেন ইউনিট তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ রাজ্যগুলিকে টাকা দিয়েছিল। রাজ্যগুলি সেই টাকা দিয়ে কেন অক্সিজেন প্ল্যান্ট বানাতে পারেনি, কোথায় গেল সেই টাকা, উঠছে এ ধরনের নানা প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রী টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যগুলি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

কিন্তু তথ্য অন্য কথা বলছে।

দেশের ১৫০টি জেলা হাসপাতালে ১৬২টি অক্সিজেন ইউনিট স্থাপনের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার টেন্ডার ছেড়েছিল গত বছরের ২০ অক্টোবরে। এর জন্য পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২০১ কোটি টাকা।

৬ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে কেন্দ্রের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১৬২টি প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য ২০১.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর জন্য টেন্ডার ইস্যু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল সাপ্লাই স্টোর বা সিএমএসএস-কে।

এ পর্যন্ত অর্থাৎ গত ৬ মাসে কয়টি অক্সিজেন ইউনিট বসানো হয়েছে জানেন? ১৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ১৬২টি ইউনিটের মধ্যে ৩৩টির কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশে ৫টি, হিমাচল প্রদেশে ৪টি, চণ্ডীগড়-গুজরাত-উত্তরাখণ্ডে ৩টি করে, বিহার-কর্নাটক-তামিলনাড়ুতে ২টি করে, এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশে ১টি করে। ওই টুইটে আরও বলা হয়েছিল, মে মাসের মধ্যে আরও ৮০টির কাজ শেষ করা হবে।

প্রশ্ন উঠেছে, ৬ মাসেও কেন অক্সিজেন ইউনিট তৈরি করা গেল না, খরচ যেখানে মাত্র ২০০ কোটি টাকা (সরকারের কাছে যা অত্যন্ত নগন্য)। আর এখন কেন এত তৎপরতা?

জানা গেছে, প্ল্যান্ট তৈরিতে দেরির জন্য এই কাজের বরাত পাওয়া সংস্থা ও হাসপাতালগুলি পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছে। হাসপাতালগুলির বক্তব্য, প্ল্যান্টের জন্য পরিকাঠামো তৈরি ছিল। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার দাবি, হাসপাতালগুলি পরিকাঠামো
দিতে না পারায় প্ল্যান্ট বসানো যায়নি।

বর্তমানে করোনার যে ভারতীয় ভাইরাসটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, তা হল B.1.167. গবেষকরা জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী হল, করোনা ভাইরাসের এই ‘ডবল
মিউটেন্ট স্ট্রেনই (Double Mutant Strain)। কিন্তু জানেন কি এই ভাইরাসটি কখন চিহ্নিত করা হয়েছিল? ২০২০-র ৫ অক্টোবরে। এই মারাত্মক ভাইরাসের মোকাবিলায় তখন কোনও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল কি? না হয়নি। অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর, এই তিন মাস কার্যত কিছুই করেনি কেন্দ্র।

এই ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বুঝতে এ বছরের জানুয়ারিতে ১০টি ল্যাবরেটরিকে নিয়ে গঠন করা হয় COVID Genomics Consortium. বরাদ্দ করা হয় ১১৫ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত এই ল্যাবগুলি খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি। কেন জানেন? কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার বায়োটেকনোলজি দফতরকে বরাদ্দ করা ১১৫ কোটি টাকা দেয়নি।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img