ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে কেন্দ্রের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে সুন্দরবনের জন্য ১০ হাজার কোটি এবং দিঘার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।পরে দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাবো কিনা জানি না, তবে আমরা জানিয়ে এসেছি।”
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি পেশ করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ২৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। সেইসঙ্গে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় দল এসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখবে এবং আরও
অর্থ বরাদ্দের করা হবে।
শুক্রবার কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে দেখতে আজ ওড়িশা হয়ে বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন হেলিকপ্টারে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী।
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করলেও, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “দিঘায় বৈঠক ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকতে পারিনি। উনি আমার সঙ্গে করতে চেয়েছিলেন। তাই দেখা করতে গিয়েছিলাম।”
প্রশাসনিক বৈঠকে সেচ দফতরের কাজ ঠিক মতো হয়নি বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রামের রাস্তাগুলিকে দ্রুত মেরামত করতে হবে। সেইসঙ্গে জানিয়ে দেন, ত্রাণের টাকা দেওয়ার আগে ত্রাণের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে৷
৩ জুন থেকে রাজ্যে চালু হতে চলেছে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি চালু হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন , ‘আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে। প্রতিটি গ্রামে ক্যাম্প করা হবে। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেন। ১৯ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। তার পরে ১ জুলাই থেকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাবে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তিনি। এই কাজের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।