না জেনে ভুল ওষুধ প্রয়োগ করার জন্যই কি করোনায় এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে? দেশের অন্যতম সেরা ভাইরোলজিস্ট বিশিষ্ট চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী কিন্তু সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “করোনার ভাইরাস নতুন হতে পারে। কিন্তু রোগের লক্ষণগুলোর সঙ্গে আমরা পরিচিত।”
তিনি বলেন, যে ১১টি ওষুধকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল, রোগ সারাতে সেগুলির কার্যকারিতা কতখানি, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।” প্রবীণ এই চিকিৎসকের কথায়, “আমি অসংখ্য করোনা রোগীর চিকিৎসা করেছি। তাঁরা প্রায় সবাই সুস্থও হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ওই ওষুধগুলো কখনও রোগীদের দিইনি।” এই ভুল ওষুধ প্রয়োগের কারণে বহু রোগীর প্রাণহানি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
করোনার ওষুধ নিয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলি ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় নেমেছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
করোনা নিয়ে “প্যান্ডেমিক বনাম ইনফোডেমিক” নামে বইটি লিখেছেন ‘কালান্তর’ পত্রিকার সম্পাদক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বইটিকে অতিমারীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে চিহ্নিত করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস শূর। এ প্রসঙ্গে করোনাকালে সাংবাদিক ভূমিকার কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন স্নেহাশিসবাবু। কঠিন সময়ে প্রেস ক্লাব কীভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেকথাও তুলে ধরেন তিনি।
সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি বলেন, বিজ্ঞানই শেষ কথা বলে। তাই বিজ্ঞানের ওপরই মানুষকে আস্থা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক পবিত্র কুমার সরকার।