এ আর এক লড়াই ও স্বপ্নপূরণের কাহিনী। পেশায় তিনি ট্যাক্সি চালক। ৫১ বছরের মহম্মদ সহিদুল লস্কর তিল তিল করে জমানো অর্থে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে গড়ে তুলেছেন মারুফা মেমোরিয়াল হাসপাতাল। অল্প বয়সে চিকিৎসার অভাবে মারা গিয়েছিলেন সহিদুলের বোন মারুফা। প্রিয় বোনের স্মৃতিতে ২০১৮ সালে ৫৫ বেডের এই হাসপাতালটি তৈরি করেন সহিদুল। হাসপাতাল তৈরির জন্য নিজের জীবনের সব সঞ্চয় ছাড়াও স্ত্রীর গয়না বেচে দিয়েছেন। সাহায্যের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে হাত পেতেছেন।
হাসপাতালের আউটডোরে ১০ জন চিকিৎসক নিয়মিত রোগী দেখেন। এর জন্য ফি হিসেবে দিতে হয় ৫০ টাকা করে। তবে ওষুধ দেওয়া হয় একেবারে বিনামূল্যে। হাসপাতালের জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন ৩২ লক্ষ টাকার। সেই টাকা জোগাড়ের জন্য আবার শরণাপন্ন হয়েছেন এই ট্যাক্সিচালক।
প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কী বাতে’র অনুষ্ঠানের ১০০তম এপিসোডে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সইদুল। আগামী মঙ্গলবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দিল্লি উড়ে যাবেন। সেখানে থাকবেন ৪ দিন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।
সহিদুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থের জন্য আবেদন জানাবেন। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন একটি চিঠি। তাতে গোটা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা উল্লেখ থাকছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জ্বালানি আর গ্যাসের দাম কমানোরও অনুরোধ জানাবেন।
২৯ এপ্রিল সহিদুল কলকাতায় ফিরবেন। ৩০ এপ্রিল রাজভবনে মন কী বাতের অনুষ্ঠানটি দেখানো হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।