সংগ্রাম দত্ত
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। এই উৎসবে এবারও নজর কেড়েছে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ি পুজো। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গা মন্ডপের খ্যাতি রয়েছে বাগেরহাটের শিকদার বাড়ির পুজোর।
প্রতিমার সংখ্যার দিক দিয়ে এই মন্ডপকে এশিয়ায় সবচেয়ে বড় মন্ডপ বলে দাবি করেন আয়োজকরা। এবারের পুজোয় সিকদার বাড়ির বিশেষ আকর্ষণ হল, ৬৫ ফুট লম্বা কুম্ভকর্ণের ঘুমন্ত মূর্তি।
২০১১ সালে ২৫১টি প্রতিমা নিয়ে প্রথম এই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। তার পর থেকে প্রতি বছর বড় মহাধুমধামে পুজো হয়ে আসছে ব্যবসায়ী লিটন শিকদারের বাড়িতে।
২০১৯ সালে ৮০১টি প্রতিমা নিয়ে এই বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। করোনার জন্য এর পরের তিন বছর বড় করে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও পালি যুগের পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজে সর্বক্ষণ ব্যস্ত রয়েছেন ভাস্কর্য শিল্পীরা।
দুর্গা মন্ডপে পৌরাণিক চার যুগের বিভিন্ন কাহিনী অবলম্বনে ৫০১টি প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। পুজোর সময় দর্শনাথীরা যাতে সহজে প্রতিমাগুলিকে দর্শন করতে পারেন, সেজন্য সারিবদ্ধভাবে কয়েকটি লাইনে প্রতিমাগুলো রাখা হয়েছে। প্রতি বছর অসংখ্য দেব-দেবীর প্রতিমার ভিতর একটি প্রধান আকর্ষণ রাখা হয়। এ বছর মন্ডপের প্রধান আকর্ষণ কুম্ভকর্ণের ৬৫ ফুটের ঘুমন্ত প্রতিমা।
অসংখ্য দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরি করে পূজার আয়োজন করা হয় বলে সিকদার বাড়ির দুর্গা মন্ডপকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গা মন্ডপ বলা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য মানুষ এই মন্ডপে আসেন। এ বছর আবার আগের মতোই আড়ম্বরে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।
বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় এ বছর ৬৫২টি দুর্গাপুজো হচ্ছে মণ্ডপে বলে জানা গেছে।