শেষ হলো গোবরডাঙা রূপান্তরের “রূপান্তর নাট্যোৎসব ২০২৩-২৪”। রূপান্তরের ৫০তম বর্ষপূর্তিতে ২২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর গোবরডাঙা পৌর টাউন হলে এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
২২ ডিসেম্বর সকালে সংস্থার শিশু ও বড়দের বিভাগের সদস্য-সদস্যা এবং গোবরডাঙার নাট্যপ্রেমী মানুষজনের মিলিত এক বৃহৎ বর্ণাঢ্য পদযাত্রার মধ্য দিয়ে গোবরডাঙার প্রাচীন নাট্যদল রূপান্তর-এর ৫০ বর্ষ পূর্তি উদযাপনের সূচনা হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় গোবরডাঙা পৌর টাউন হলে মঙ্গলদীপ প্রোজ্জ্বলন করে নাট্যোৎসবের সূচনা করেন পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আধিকারিক অভিজিৎ চ্যাটার্জি, বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক আশিস দাস, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির সদস্য ও নাট্য পরিচালক আশিস চ্যাটার্জি, রূপান্তরের সভাপতি বর্ষীয়ান শশাঙ্ক শেখর দত্ত, নাট্য পরিচালক শ্যামল দত্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন সংস্থার সূচনা লগ্নের (১৯৭৩) সম্পাদক বাসুদেব বন্দোপাধ্যায়, সংস্থার সহ-সভাপতি আশিস পাল।
২২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, চারদিনে মোট আটটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। রঙরূপ প্রযোজিত নাটক ‘স্বাহা’, গোবরডাঙ্গা রূপান্তর প্রযোজিত নাটক ‘ছুটির ফাঁদে’ (এই নাটকটি গোবরডাঙ্গা রূপান্তরের প্রথম প্রযোজনা, ৫০ পূর্তিতে শ্যামল দত্তের নির্দেশনায় নাটকটি আবার নতুন করে মঞ্চস্থ হল), রূপান্তর শিশুবিভাগের নাটক ‘স্বার্থপর দাদু’ , ময়না অন্যভাবনা প্রযোজিত নাটক ‘প্রতিঘাত’, ফিনিকের নাটক ‘ওরা নন্দিনীরা’, সমবেত নাট্যকর্মীর নাটক ‘গোধূলিবেলায়’, কিংশুক প্রযোজিত নাটক ‘ময়নামতীর ইতিকথা’, কাল্পিক প্রযোজিত নাটক ‘আমার ডাকঘর’।
৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপনের আরও একটি বিশেষ দিক ছিল, বিদ্যালয় ভিত্তিক নাট্যোৎসব। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ১০টি বিদ্যালয়ে এই পর্বে অংশগ্রহণ করে।
১৯৭৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর গোবরডাঙ্গা অঞ্চলের সাংস্কৃতিক মনস্ক কয়েকজন মানুষ একত্রিত হয়ে গোবরডাঙ্গার প্রথম নাটকের দল “গোবরডাঙ্গা রূপান্তর” তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ ৫০ বছরে রূপান্তর সব মিলিয়ে প্রায় ৮০টি নাটক প্রযোজনা করেছে।