জলাভূমি সংরক্ষণ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে জঞ্জালের স্তূপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি জঞ্জালের পাহাড়ের মধ্যেই বেআইনিভাবে যাতায়াতের রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। সেইসঙ্গে জঞ্জালের দুর্গন্ধে এলাকায় যাতায়াত করাও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
জাতীয় এই সরোবরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রাতঃভ্রমণকারী থেকে শুরু করে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা। বিশিষ্ট পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই জঞ্জাল থেকে মাত্র ১০-১৫ মিটার দূরে রয়েছে সরোবরের জল। জঞ্জাল এবং বিষাক্ত রাসায়নিক লেকের জলকে পুরোপুরি দূষিত করে দিতে পারে। জাতীয় সরোবরের ১নং গেটের ঠিক পাশেই জলাধারের মাত্র ১০-১৫ মিটারের মধ্যেই জঞ্জালের স্তূপ আর এই জঞ্জালের ওপর দিয়েই চলেছে লেকে ঢোকা বের হবার অবৈধ রাস্তা |
তাঁর আরও আশঙ্কা, এই জঞ্জাল সেখানকার মাটির উর্বরতা ধ্বংস করার পাশাপাশি উদ্ভিদের বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে যেভাবে সেখানে আবর্জনার পাহাড় জমেছে, তাকে পরিবেশগত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সোমেন্দ্র মোহনবাবু। লেক কলোনি থেকে এই জঞ্জালের ভিতর দিয়ে অবৈধ রাস্তা তৈরির ফলে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যও বেড়ে গিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
ঐতিহ্যবাহী এই সরোবরের দূষণ কেএমডিএ এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন এই পরিবেশ কর্মী। তিনি বলেন, এই সরোবর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব কেএমডিএ-র। অন্যদিকে, অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে পুলিশের তৎপর হওয়া উচিত। কিন্তু পুলিশ এবং কেএমডিএ, কেউই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ করেছেন সোমেন্দ্র মোহনবাবু।