বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ বাঙালি তথা দেশবাসীর এক গর্বের প্রতিষ্ঠান। হেরিটেজ ভবন সাহিত্য পরিষৎ ভবনের আমূল সংস্কার ও রক্ষণাবক্ষেণ সুচারুভাবে গত চার বছর ধরে করে চলেছে রাজ্য সরকারের পূর্ত বিভাগ। সেই কাজ এখন শেষ হওয়ার পথে। পরিষদের একজন দীর্ঘদিনের পাঠক ও গবেষক জানান, বিগত কয়েক মাসে সভাপতি রতন কুমার নন্দী ও সম্পাদক রমেন কুমার সরের নেতৃত্বে বর্তমান পরিচালন কর্তৃপক্ষ বেশকিছু প্রশংসনীয় কাজ করেছে। অত্যাধুনিক ব্যবস্থা সম্বলিত মিউজিয়াম ও পুঁথিশালা কক্ষের আমূল পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। সেই কাজও এখন শেষ পর্যায়ে।
দোতলায় রমেশচন্দ্র দত্তের নামাঙ্কিত আলোচনা কক্ষের আলো ও শব্দ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। সিসিটিভি র ব্যাপ্তির পাশাপাশি কম্পিউটার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।।
পরিষৎ আয়োজিত বিভিন্ন আলোচনা সভায় সাহিত্যিক শংকর ( মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়), শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন গুণী বিদ্বজ্জন যোগ দিয়েছেন।
এই প্রথম সমরেশ বসুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সাহিত্য অকাদেমির সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমরেশ পুত্র নবকুমার বসু সহ গুণীজনেরা।
টালা পার্কে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িটি কয়েক বছর আগে পরিষৎ অধিগ্রহণ করে। সেটি এখন জয়শ্রী ভবন হিসেবে পরিচিত। বাড়িটির যথাযথ সংস্কারও করা হয়েছে।