হোমফিচারগীতা..একটি মহাগ্রন্থ

গীতা..একটি মহাগ্রন্থ

গীতা..একটি মহাগ্রন্থ

বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়: যুগ যুগ ধরে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে গীতা নিয়ে । অ্যাংলো-আমেরিকান বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও জীবনী-লেখক ক্রিস্টোফার ইশারউড এই রচনাটি লিখেছিলেন ১৯৪৪ সালে । সময়কাল গুরুত্বপূর্ণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হচ্ছে ।

গীতার বহু-আলোচিত দার্শনিক-বার্তার রূপককে একেবারে নতুন ভাবনায় অনবদ্য বিশ্লেষণ করেছেন ইশারউড । বলেছেন, “গীতা শুধুমাত্র ধর্মোপদেশ নয়, দর্শনতত্বও বটে।”

আর এইখান থেকেই শুরু হয়েছে তাঁর বিশ্লেষণ। “বস্তুজগতের সাপেক্ষে অর্জুন আর তাঁর স্বীয় কর্মের নির্ধারক নন। যুদ্ধের কর্তব্য তাঁর উপরে ন্যস্ত । এই যুদ্ধ তাঁর আনুপূর্বিক কর্মের সমষ্টিগত ফল। তাঁর বেছে নেওয়ার ক্ষমতা নেই । কৃষ্ণ তাঁকে বলছেন যে অর্জুন যদি অহং বশবর্তী হয়ে বলেন যে এই যুদ্ধ তিনি করবেন না তাহলে সে অহমিকা মিথ্যে .. এই কর্ম নির্ধারিত স্বরূপই আমরা নিজেদের মধ্যে বয়ে বেড়াই তাই কর্ম থেকে আমাদের নিষ্কৃতি নেই ।”

“গীতা যুদ্ধকে সমর্থন বা প্রতিবাদ কোনওটিই করে না। সম্ভবত এর কোনওটিই গীতা করতে পারে না । এর থেকে যে শিক্ষা আমরা পেতে পারি তা আমাদের অন্যকে বিচার করার স্পর্ধা প্রদর্শনে বাধা দেয়।”

এই নিবন্ধটির বঙ্গানুবাদ করে একটি মূল্যবান কাজ করলেন প্রকাশক সূত্রধর। সংগ্রহ মূল্য তিরিশ টাকা ।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img