পুলক মিত্র : রাজ্যে এখনই লকডাউন উঠছে না। ৩০ মে-র পর লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়তে চলেছে। তার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বহাল রাখা হবে। নবান্ন সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে।
করোনা সঙ্কটের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি রুখতে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। গত ৮ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও, তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। গত বছর রাজ্যে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ সাড়ে ৪ হাজার ছাড়ায়নি। দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ৭০-এর মধ্যে ছিল।
কিন্তু এবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৪-৫ গুণ। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এখনও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শোর ওপরেই রয়েছে। এই অবস্থায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।
তাঁদের মতে, টানা লকডাউনের ফলে দিল্লি-মুম্বইয়ে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটা কমেছে। একসময় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ২৮ হাজারে। এখন তা ২ হাজারের নীচে নেমে এসেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আপাতত ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন চলার কথা জানিয়েছেন। তারপর লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দিল্লির পথে হেঁটে সংক্রমণ কমাতে চাইছে বাংলাও। সেক্ষেত্রে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া সরকারের সামনে বিকল্প কোনও পথ নেই। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, জুন মাস পর্যন্ত লকডাউন চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে, ১ জুলাই থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে, যেমনটি গত বছর করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, করোনার পাশাপাশি রাজ্যে এখন হানা দিয়েছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ও। তাই আগামী ১ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।