৪ এবং ৫ জুন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান চিরন্তনীর (Chirantani) কবিপ্রণাম যথাযথ মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এবারের অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা ও নান্দনিক পরিবেশনার গুণে অনবদ্য হয়ে উঠেছিল। দুই দিনে দেশবিদেশের মোট ৪৮ জন বিশিষ্ট শিল্পী নিবেদন করলেন তাঁদের গান ও কবিতার সম্ভার। গোটা অনুষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন চিরন্তনীর কর্ণধার বর্ণালী সরকার।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান চিরন্তনী ২০১০ সাল থেকেই বাংলার সংস্কৃতি-জগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সমাজসেবা মূলক কাজই চিরন্তনীর মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথের সমস্ত গান ও কবিতার ডিজিটাল সংকলন গীতবিতান আর্কাইভ এবং রবীন্দ্রকবিতা (Rabindranath Tagore) আর্কাইভ, গীতবিতান (Gitabitan) তথ্যভাণ্ডার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কাজগুলি নির্মাণের পিছনে চিরন্তনীর অবদান বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি (Bengali Culture) জগতে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
অতিমারীর এই কঠিন সময়ে আজ আমরা সকলেই গৃহবন্দি, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। সমাজের সব পেশার মানুষের মত শিল্পীরাও করোনার ভ্রুকুটিতে কোণঠাসা। আর্থিক বিপর্যয় ছাড়াও তাঁরা নিজেদের শিল্পকর্ম, প্রতিভা শ্রোতা-দর্শকের কাছে সরাসরি পৌঁছে দিতে পারছেন না।
এই অবস্থায় চিরন্তনীর পক্ষ থেকে একটা অভিনব কাজ শুরু হতে চলেছে। এটি এমন একটা নতুন International প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সব দেশ থেকে শিল্পীরা নিজেদের শিল্প প্রতিভা পরিবেশন করতে পারবেন। তাঁদের কাজ ও পরিচিতিকে সবস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রকল্পে।
আপাতত Virtual প্লাটফর্মে নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার, ফেসবুক- ইউটিউব- টুইটার- লিংকেডিন ইত্যাদি ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে। ভবিষ্যতে চিরন্তনীর এই ভাবনাকে আরও বিস্তৃত পরিসরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দেশবিদেশের বহু বিদগ্ধ গুণীজন এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
চিরন্তনীর এই উদ্যোগের বিশেষত্ব হল, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের যথাযোগ্য সম্মান এবং সাধ্যমত সাম্মানিক প্রদান। আগামী জুলাই মাসে পদ্মাবোটের কবি শীর্ষক অনুষ্ঠান দিয়েই শুরু হবে নতুন পথ চলা।
যোগাযোগ 96744-13209