করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্কট নেমে এলেও, ২০২১ অর্থবর্ষকে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে চা শিল্পের পক্ষে সেরা সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এর সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। লকডাউন এবং অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে চা-এর উৎপাদন মার খেলেও, আর্থিক মানদণ্ডের বিচারে এই শিল্পের কারবারীরা ভালই লাভের মুখ দেখেছেন। চা শিল্প-সংক্রান্ত এক রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতে চা শিল্পের সামগ্রিক ছবি তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বণিকসভা অ্যাসোচেমের পক্ষ থেকে “Tea Industry At The Cross Roads” নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের মজুরি থেকে শুরু করে এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইসিআরএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট কৌশিক দাস বলেন, “প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, লকডাউন এবং অন্যান্য কারণে গত অর্থবছরে উত্তর ভারতে চায়ের উৎপাদন কমেছে ১৩৫ মিলিয়ন কেজি। দেশের বাজারে উৎপাদনে ঘাটতির কারণে উত্তর ভারতে নিলামে চায়ের দাম ৩২ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলশ্রুতি হিসেবে ২০২১ আর্থিক বছরে চা শিল্পে লাভের মুখ দেখা গেছে।”
সাংবাদিক বৈঠকে অ্যাসোচেমের চা-সংক্রান্ত পূর্বাঞ্চলীয় সাব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মণীশ ডালমিয়া পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, “ভারতে চা শিল্পের সঙ্গে ৩৫ লক্ষ মানুষের রুজিরুটি জড়িত। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ২৫ শতাংশ ভারতেই হয়ে থাকে। আর দেশে চায়ের ৮২ শতাংশ উৎপাদিত হয় উত্তর ভারতে। আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গে এই উত্তর ভারতের চা বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এই দুই নানা ধরনের চা উৎপাদন হয়ে থাকে এবং গুণগত মানও বেশ ভাল।”
সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন অ্যাসোচেমের পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রবি আগরওয়াল এবং অ্যাসোচেমের ডিরেক্টর (পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব) পারমিন্দর জিৎ কউর।