প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। বাজারে পাটজাত পণ্যের ভাল চাহিদাও তৈরি হচ্ছে বলে দাবি জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার।
উন্নত মানের পাট বীজ বণ্টন নিয়ে বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন জেসিআইয়ের শীর্ষ পদাধিকারীরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন জুট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় কুমার জলি, জুট কমিশনার মলয় চন্দন চক্রবর্তী, জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ মজুমদার এবং ডিরেক্টর (ফাইনান্স) অমিতাভ সিনহা।
অজয় কুমার এবং মলয় চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে পাটের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। করোনার কারণে পাটকলগুলিতে কিছুদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় মাঝে কিছুটা সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। এখন উৎপাদন স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বাজারে নকল পাট বীজের মোকাবিলায় কৃষকদের কাছে উচ্চ ফলনশীল বীজ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলার ১১টি জেলাকে। জেলাগুলি হল, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, হুগলি, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর।
৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে বীজ বণ্টন করা হবে। পাশাপাশি এই বীজের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে ৭০টি শিবিরও করা হবে। নতুন এই বীজ ব্যবহার করে পাটের ফলন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। এমনটাই জানাচ্ছেন জুট কর্পোরেশনের কর্তারা।