হোমPlot1এবার কি মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের পথে মমতা? একাধিক হেভিওয়েটের দফতর বদল?

এবার কি মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের পথে মমতা? একাধিক হেভিওয়েটের দফতর বদল?

এবার কি মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের পথে মমতা? একাধিক হেভিওয়েটের দফতর বদল?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল ঘটাতে চলেছেন? নবান্ন সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শুধু মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন নয়, একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীর দফতরও বদলাতে চলেছে। মন্ত্রিসভায় একাধিক নতুন মুখ আনার কথাওয ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন একাধিক মন্ত্রী। সূত্রের খবর, আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে মন্ত্রিসভার খোলনলচে বদলাতে চলেছেন মমতা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে তিনি প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিধানসভার বাদল অধিবেশনের পর পরই মন্ত্রিসভার রদবদলের কাজে তিনি হাত দেবেন।

সম্প্রতি নবান্নে এক বৈঠকে কোনও রাখঢাক না রেখেই আমলা, পুলিশ থেকে শুরু করে মন্ত্রী, বিধায়ক, কাউন্সিলরদের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কড়া ভাষায় তুলোধোনা করেছেন, তাতে অনেক মন্ত্রীই সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত কার ওপর খাঁড়ার ঘা নেমে আসবে, তা নিয়ে শঙ্কিত অনেক মন্ত্রীই।

২০২৬-এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। সেই অর্থে বিধানসভার ভোটের আর ২ বছরও বাকি নেই। তাই মন্ত্রিসভার পরিবর্তনের কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে চান মমতা। এ নিয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, মন্ত্রীদের অনেকের কাজে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট মমতা। সাম্প্রতিক বৈঠকে তিনি মন্ত্রী সুজিত বসুকে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেছেন। তাই সুজিতের মন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সুজিত মন্ত্রিসভায় থেকে গেলেও, তাঁকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর দেওয়া হতে পারে।

কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাজে বেজায় রুষ্ট মমতা। বৈঠকে তিনি তা গোপনও করেননি। পুর এলাকায় দুর্নীতি, বেআইনি নির্মাণ, তোলাবাজি, সরকারি জমি দখল, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্নতা, বেআইনি পার্কিং থেকে টাকা তোলা নিয়ে বৈঠকে সরব হন মমতা। তবে এই দফতরের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের বিরুদ্ধে অবশ্য তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। সূত্রের খবর, ক্ষুব্ধ হলেও, ববির দফতরে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।

এবারের লোকসভা ভোটে গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন থাকলেও, শহরাঞ্চলে তুলনামূলকভাবে অনেক কমেছে, যা ২০২৬-এর  বিধানসভা ভোটের আগে শাসকদলের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অবস্থায় মন্ত্রিসভায় ঝাঁকুনি দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিট মডেল নবান্নেও চালু করার পথে হাঁটছেন মমতা।

মন্ত্রী, বিধায়ক, কাউন্সিলরদের মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি টাকা তোলার মাস্টার চাই না। আমি জনসেবক চাই। যাঁরা জনসেবা করতে পারবেন, তাঁরাই আগামী দিনে টিকিট পাবেন। বাকিদের ছুড়ে ফেলে দেব।”

পুলিশকেও তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “অন্যায় করলে ব্যবস্থা নিন। কোনও দল, পদ দেখবেন না। যারা বেশি লোভ করবে, তাদের মুখে ললিপপ লাগিয়ে দিন। অথবা লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দিন।”

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img