ঘূর্ণিঝড় রেমালের হাত ধরে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৮ দিন আগেই বাংলায় ঢুকে পড়ল বর্ষা। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা। শুধু তাই নয়, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব দেখা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা আসবে তা এখনও জানা যায়নি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি গরমও বজায় থাকবে।
সাধারণত ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা আগমন ঘটে থাকে। এর আগে ২০০৯ সালে শেষ বার রাজ্যে মে মাসে বর্ষা প্রবেশ করেছিল বর্ষা। গত বছর ১২ জুন রাজ্যে বর্ষা এসেছিল। ২০০৯-এ ২৫ মে আর ২০০৬ সালে বর্ষা এসেছিল ২৭ মে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, এ বছর রেমালের কারণে সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে এখন কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি চলবে। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। এর মধ্যে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এই দুই জেলায় বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহেও বৃষ্টি হতে পারে শনিবার।
পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেলেও উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে তাপপ্রবাহ চলছে। বিহারে গত ৪৮ ঘণ্টায় গরমে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১০ জন ভোটকর্মী। ওড়িশায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝাড়খণ্ড এবং রাজস্থানে পাঁচ জন করে মারা গিয়েছেন।