তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আগে এই পদে ছিলেন মুকুল রায়। মুকুল বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে এই পদটি শূন্য ছিল। সেই অর্থে এখন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হলেন অভিষেক।
তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে আজ তাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়। অভিষেক তৃণমূল যুব সভাপতি ছিলেন। ওই পদে এসেছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ।
মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী করা হয়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে Kakali Ghosh Dostidar)। ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়কে শ্রমিক সংগঠনের (INTTUC) রাজ্য সভাপতি এবং পূর্ণেন্দু বসুকে কৃষক সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে।
তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সভাপতি হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী।
বঙ্গ জননী সভাপতি মালা রায়কে করা হল।
সর্বভারতীয় INTTUC-র সভাপতি পদে রাখা হয়েছে দোলা সেনকেই।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদে এসেছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। রাজ্যে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে।
বিধানসভা ভোটে জয়ের পর আজ প্রথম বার সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথমে কোর কমিটির বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ছিলেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ববি হাকিম, গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
কোর কমিটির বৈঠকের পর তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা।
বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন, “কোনও মন্ত্রী গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার করতে পারবেন না। দুর্নীতিতে যেন কারও নাম না জড়ায়। কয়লা, বালি পাচার নিয়ে দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ না ওঠে। দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য না হলেও, বৈঠকে ডাকা হয়েছিল মদন মিত্রকে। ফেসবুক লাইভ নিয়ে মদনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মমতা। মদনকে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি বলা যায় না।