তৃতীয় বার জিতে রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের পর এখনও ২ সপ্তাহও পেরোয়নি। এর মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সরকারের ফের সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবারও রাজ্যপালকে সরানোর দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগ, “রাজ্যপাল বিজেপি নেতার মতো আচরণ করছেন। দিল্লির এজেন্ট ধনখড় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন। উনি রাজ্যপালের পদের যোগ্য নন। তাঁকে দ্রুত সরানো উচিত।”
এর আগে, দলের আর এক প্রবীণ নেতা সৌগত রায় রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করার কথা বলেছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল তৃণমূল। সেই স্মারকলিপিতে সই করেছিলেন দলের ৫ সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।
ধনখড় বারবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে যেভাবে সংঘাতে জড়াচ্ছেন, তাতে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যে তাঁর পদমর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শপথের দিন থেকেই ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করতে শুরু করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে তিনি সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করে চলেছেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারে ‘হিংসা কবলিত’ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের এক এসআইকে ধমক দেন রাজ্যপাল, যা তাঁর পদমর্যাদার সঙ্গে বেমানান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সফরকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ, যা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।