বিশেষ প্রতিনিধি : ঠিকানা বাইপাসের ধারে। ওই ময়লা ফেলে টিলা হয়েছে যেখানে। সারাটা দিন ঘুরে ঘরে রিকশা ভ্যান বোঝাই করে ভাঙাচোরা জিনিস কুড়িয়ে ঝুপড়িতে ফেরে। ওখানেই ওদের ঘরকন্না।
মেয়েটি বসিরহাটের, ছেলেটি মেদিনীপুরের। দুজনে পাশপাশি থাকতে থাকতে ঠিক করে, তারা বিয়ে করবে। তো বিয়েতে সানাই, শঙ্খ, উলু, ধুর সে সব কই? আমাদের জন্য ও সব না কি? ওই ভ্যানে করে ফালতু মাল তুলি। ঘেঁটে ঘুঁটে সব মহাজনকে বেচে চাল ডাল ফুটিয়ে খাই।
বুলিকে আমার ঝুপড়িতে নিয়ে এলাম। একসাথ থাকতে লেগে গেলাম। ব্যাস ওই তো হয়ে গেল আমাদের বিয়ে।
বুলি : এই তো আমরা সোয়ামি আর ইস্তিরি পুরোপুরি। বুলির বয়স বললো কুড়ি আর ওর স্বামী চব্বিশ-পঁচিশ হবে।
বার্থ সার্টিফিকেট, আধার কার্ড, ভোটের পরিচয় পত্র?
না, কিচ্ছু নেই, রিকশা ভ্যানটা আর আমাদের ওই মেয়ে সানিয়া আছে, বলে নারায়ণ।
মেয়েকে ইস্কুলে পড়াবে, দুজনের খুবই ইচ্ছে।একমাত্র সন্তানকে ঘিরে ওদের দিনরাতের স্বপ্ন আবর্তিত হয়।
ওদের অভিযোগ নেই কারোর বিরুদ্ধেই।
এখন ভোট। এখন বসন্ত। পলাশ, পারুল, শিমুলের দিন। মিটিং মিছিল, দুয়ারে সরকার, ওরা এসবের কোনও খোঁজ রাখে না, নির্বাচন কমিশন ওদের হিসেব রাখে না ।
গণতান্ত্রিক ভোট নাকি বিশাল উৎসব!