দেবদাস কুণ্ডু : মাথার ওপর ঝুলে আছে জল ভরা চোখ নিয়ে কিছু মেঘ। একটু পরে জলে ভেসে যাবে এই শহর। তবু অভিরূপ চক্র রেলে উঠলো।
নামল আউটট্রাম ঘাট। চওড়া সিঁড়ি দিয়ে
নামছিল ঘাটে। হঠাৎ এক নারী কন্ঠ –অভি না?
ঘুরে দাঁড়াল অভি—রুপালি না?
ওরা এখন ছিমছাম এক রেস্টুরেন্টে বসে।
অভি—এখানে কেন তুমি?
রূপালি—–রাঁচির বাস ধরবো।
অভি—-রাঁচি কেন?
রুপালি—-ওখানে আমার শ্বশুর বাড়ি। মার শরীর খারাপ। দেখতে এসেছিলাম। তুমি
এখানে কেন?
অভি—এক বন্ধু আসবে।
তারপর কলেজ জীবনের কত গল্প। কে কেমন আছে। কি করছে। একসময় রুপালি বলে— আমার বাস ছাড়ার সময় হয়ে গেছে।
অভি—চল তোমাকে বাসে তুলে দি।
রূপালি—তোমার বন্ধু এসে ফিরে যাবে না?
অভি—অপেক্ষা করবে।
বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে গেল। মেঘের কান্নার জন্য রাস্তায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে
হল চক্র রেল থেকে নামার পর।
কবিরাজ বাগান নেমে মনে
পড়ল এই যা: রুপালিকে জিগ্যেস করা হল না,
ও কেমন আছে? একসময় বলেছিল—অভি
তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। তোমাকে ছাড়া জীবনে সুখী হবো না।
ঘরে ঢুকে অভিরূপ মনে মনে বলল, সে
ইচ্ছে করেই কথাটা জিগ্যেস করেনি। যদি
রুপালি বলত—ভালো আছি। আমি খুব সুখী।
কথাটা কি সে সহ্য করতে পারত?