হোমঅন্যান্যঅন্তর্তদন্ত : পর্ব ১০ - সিইএসসি : গোয়েঙ্কাদের ভোল বদল, এবার গেরুয়াপ্রীতি

অন্তর্তদন্ত : পর্ব ১০ – সিইএসসি : গোয়েঙ্কাদের ভোল বদল, এবার গেরুয়াপ্রীতি

অন্তর্তদন্ত : পর্ব ১০ – সিইএসসি : গোয়েঙ্কাদের ভোল বদল, এবার গেরুয়াপ্রীতি

শ্যামল সান্যাল: রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ফায়দা তোলার ক্ষেত্রে আরপিজি সংস্থার মালিকদের জুড়ি নেই। এইভাবে এঁরা ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে নিজেদের ব্যবসা বহর বাড়িয়ে চলেছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের বৈঠকের কথা। মোদী স্বপ্ন বেচলেন। কারণ সামনেই ভোট, আর এই রাজ্য তাঁদের টার্গেট। ব্যবসায়ীদের হাতে রাখাটা খুবই জরুরি।

তো বৈঠকের পরে আরপিজি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা দুহাত তুলে উচ্ছ্বসিত হয়ে ধন্যবাদজ্ঞাপক ভাষণে বললেন, “আপনি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা। আপনি বাংলাকে নতুন করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন। এই বিশ্বাস আপনি দিয়েছেন যে আমরাও পারব। আমরা আজ বলছি, আমরা পারব।” চন্দ্রশেখর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই বণিক সভার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তারপরে মোদী। আর কোনও প্রধানমন্ত্রী এঁদের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।

চন্দ্রশেখর সে বার দুপরের খাবার খেয়েছিলেন গোয়েঙ্কাদের বাড়িতে। তখন সঞ্জীববাবুর পিতা রমাপ্রসাদ গোয়েঙ্কা বড় শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর পুত্র সঞ্জীব এখন মোদীতে মজে। বললেন , দেশের শিল্পোন্নয়নের রথ এগিয়ে চলায় পূর্ব ভারত পূর্ণ সহযোগিতা করবে।

এই শিল্পপতি পরিবার ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে হেঁটেছে হাত ধরে। এখানে কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূল সরকারে স্বজন হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরে বিজেপির গেরুয়া জার্সি পরে নিয়েছে।

এই গোষ্ঠী বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর অতি ঘনিষ্ঠ ছিল। তখন রমাপসাদ গোয়েঙ্কার রাজত্ব। একদিকে ইন্দিরা গান্ধী, অন্যদিকে জ্যোতি বসু ও তাঁর পুত্র চন্দন বসু। মিলেমিশে একাকার। সঞ্জীব-চন্দন গলায় গলায় বন্ধু। একেবারে মাখো মাখো ব্যাপার।
এই মাখামাখির সুযোগে রামবাবু হাতিয়ে নিয়েছিলেন সিইএসসির মালিকানা।

কি করে..?
আসছি সে কথায়, সঙ্গে থাকুন।

আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। (ক্রমশ)

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img