চলে গেলেন মিস শেফালি। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন তিনি। কলকাতার সাড়া জাগানো প্রথম বাঙালি ক্যাবারে-ড্যান্সার ছিলেন তিনি।
আসল নাম আরতি দাস। বাবা মারা যেতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় চলে আসেন। এর পর ১২ বছরের মেয়েটি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সংসারের যাবতীয় দায়ভার৷ ফুটফুটে সেই মেয়ে পা রেখেছিল ফিরপো হোটেলের লিডো রুমে ক্যাবারে নৃত্যে৷ ছয়-সাতের দশকে কলকাতার ক্লাব-হোটেল -নিশিনিলয়ে তখন নিশির টান মিস শেফালি৷ রাতের আলো-আঁধারিতে হুলা-জ্যাজ-চা চা চা -ক্যানক্যান ডান্স করতে করতে নিজের নামটা নিজের অজান্তেই যেন ভুলে গিয়েছিলেন৷ এক সময় পরিবারের সকলেই ছিল শেফালির ধ্যানজ্ঞান৷
১ এপ্রিল রক্তক্ষরণের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে৷ ভাগ্নে সৌমেন দাস ও ভাগ্নি এলভিনা সাহা ছিলেন নিত্যসঙ্গী। আর ছিল অর্থাভাব ! রক্তের জন্য ছুটতে হয়েছে ক্রমাগত। হাসপাতালের খরচটা শুধু লাগেনি৷ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সে ব্যবস্থা করেছেন৷ কিন্ত্ত রক্ত, ওষুধের টাকা যোগাতে হিমসিম খেতে হয়েছে ঘনিষ্ঠদের।
এর পর সোদপুরে বাড়ি এসে সুস্থই ছিলেন তিনি। সামান্য হাঁটাচলাও করতেন। কিন্তু এদিন ভোরবেলা আসে দুঃসংবাদ। ফিরপো’জ হোটেল থেকে পার্ক স্ট্রিট, গ্র্যান্ড হোটেলে গানের সুরে নাচ করতে করতে আরতি দাস থেকে মিস শেফালি হয়ে ওঠা এই শিল্পী ঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন। মৃত্যুকালে ‘রাতপরি’-র বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭৮ বছর।