শ্যামল সান্যাল
১৯৮৪ সালে ভোপালে গ্যাস লিক, মৃত্যু প্রায় 5 লাখ মানুষের।
আজ দক্ষিণ ভারতের ভাইজাগে।
দুটি ক্ষেত্রেই দুই মাল্টিন্যাশনাল সংস্থার কারখানা।
ভোপালে মার্কিন কোম্পানি ইউনিয়ন কার্বাইড, এবারে কোরিয়ার বিশাল কোম্পানি। এরা ফ্রিজ, এসি ধরনের জিনিস বানায়। লক্ষ লক্ষ কোটি বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।
ভোপালের দুর্ঘটনার সময়ে কংগ্রেস ছিল ক্ষমতায়। আজ বি জে পি।
সেদিনের দুর্ঘটনার মূল খল নায়ক ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান। আজও তাকে ধরা যায় নি। ভোপালের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজও ভুগে মরছে সেই বিষ, হজম হয়নি। বিকলাঙ্গ শিশুরা জন্মাচ্ছে, সেদিনের আর্থিক ক্ষতিপূরণ সবাই পেয়েছেন, এমন দাবি কেউ করে নি।
ভাইজাগ গ্যাস লিকের ঘটনায় কত মানুষ, পশু, পাখি গাছ পালা শেষ হবে তা কেউ জানে না। সমুদ্রের জীব কত মুছে যাবে তাও অজানা। গোটা শহর জেলা বিষের জ্বালায় জ্বলবে। কি হতে চলেছে তা নিয়ে গবেষক, রাজনীতির কারবারিরা মাঠে নেমে পড়েছেন। তেলুগু মানুষগুলো মরে, আধমরা হয়ে তা দেখতে থাকবে, ভোপালের লোকদের মত।
আর কোরিয়ান কোম্পানির কর্তারা..?
তাঁরা এতক্ষণে নিজেদের দেশে কেটে পড়েছেন কি না, তাও অজানা। চুনোপুঁটি ধরে পুলিশ বলবে, এই তো ধরেছি। কড়া শাস্তি হবে।
আসলে আদালতে মামলাটি যাবে। বছরের পর বছর কেস চলবে।
ভাইজাগ মরতেই থাকবে।