চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। প্রায় চার সপ্তাহ ধরে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। রবিবার সকালে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। শনিবার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। কিন্তু তাঁকে আর ফেরানো সম্ভব হয়নি। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি সঙ্গীতের বিশিষ্ট ধ্রুপদী গায়ক। বাবার থেকেই প্রথম সঙ্গীতের তালিম নেওয়া। মাত্র ১৩ বছর বয়সে একটি সিনেমার জন্য প্রথমবার গান রেকর্ড করেন। কিন্তু পরে তা ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে হিন্দি ছবি ‘মজবুর’-এ প্রথম গান করেন তিনি। এরপর শুধুই এগিয়ে চলা। এই ছবির নেপথ্য সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন গুলাম হায়দার। বলতে গেলে, এই গুলাম হায়দারই ছিলেন তাঁর গডফাদার।
দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে ভারতীয় সঙ্গীত জগতে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী। আয়েগা আনেওয়ালা, প্যার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া, আল্লা তেরো নাম, কঁহি দীপ জ্বলে – ছয় ও সাতের দশকের এইসব গান তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল। জীবনভর সুরসাধনার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ভারত রত্ন, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে সহ পেয়েছেন বহু পুরস্কার।