লিয়োনেল মেসি বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দ্বৈরথ নেই। জোসে মোরিনহো, পেপ গুয়ার্দিওলার মতো ম্যানেজারেরাও এখন আর নেই স্পেনীয় ফুটবলে। তা সত্ত্বেও লা লিগা এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনা মানেই আবেগের বিস্ফোরণ। দু’দলে সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা। তার উপরে বার্সেলোনার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
ফুটবলপ্রেমীদের অনেকের ধারণা ছিল, রিয়াল ছেড়ে রোনাল্ডো জুভেন্টাসে চলে যাওয়ায় হয়তো এল ক্লাসিকোর উত্তেজনা কমবে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা দুই তারকার দ্বৈরথ তো হবে না। কিন্তু সেই ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হতে বেশি দেরি হয়নি। সের্খিয়ো র্যামোস, করিম বেঞ্জেমা বনাম বার্সার মেসি, জেরার পিকে, সের্খিয়ো বুস্কেৎসের লড়াইকে ঘিরেও একই রকম উত্তেজনা রয়েছে।
বুধবার রাতেও ক্যাম্প ন্যু-র সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন প্রতিবাদীরা। উদ্বিগ্ন বার্সা ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফুটবলপ্রেমীদের অনুরোধ করেছেন এল ক্লাসিকোকে সম্মান করার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আশা করছি, ফুটবলের প্রতি সম্মান রেখেই সমর্থকেরা স্বাধীনভাবে তাঁদের মনোভাব প্রকাশ করবেন।’’
খেলায় অবশ্য বিক্ষোভের প্রভাব পড়েনি। পুরো স্টেডিয়ামই ভর্তি ছিল। যদিও প্রথমার্ধে মেসির গোল দেখার আশা অপূর্ণই থেকে গিয়েছে বার্সা সমর্থকদের। ক্যাম্প ন্যু-তে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন মেসি, লুইস সুয়ারেসরাই। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল তাঁরা করতে পারেননি।