হোমদেশCorona Vaccine : টিকা নিলেই কি জব্দ হবে করোনা?

Corona Vaccine : টিকা নিলেই কি জব্দ হবে করোনা?

Corona Vaccine : টিকা নিলেই কি জব্দ হবে করোনা?

অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, সাংবাদিক
সব যেন কেমন আবোল তাবোল হয়ে গেছে। করোনার প্রকোপ জাঁকিয়ে বসার পর থেকে জীবনের ছন্দ গেছে হারিয়ে, ভাবনা-চিন্তাও কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। আমার মত সবজান্তারা যারা পাড়ার চায়ের দোকানে জগত সংসারের সর্ব বিষয়ে নিজের স্বাধীন মতামত দিয়ে থাকি, তারা যেন কেমন বোকা বনে গেছি। আজ এখন দু চার কথা লিখতে বসেছি, নিজের কিছু ভাবনার কথা, কিছু প্রশ্ন জেগেছে মনে, যার উত্তর জানা নেই।

পাড়ার যে চায়ের দোকানে আমার প্রায় ত্রিশ বছর ধরে নিত্য প্রভাতে ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস, সেই দোকানটি আমার বন্ধুর।সেই বন্ধুটি হঠাৎ কর্পূরের মত উবে গেছে। ঘাতক করোনা তাকে নিয়ে চলে গেছে চিরদিনের মত।


বন্ধুটির তেমন কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছিল না, কিন্তু সে দেশ-দুনিয়ার ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিল। অনেকের থেকে অনেক বেশি কুসংস্কারমুক্ত ছিল। একটু বেশিমাত্রায় তর্ক করত। বিপদে-আপদে অন্যের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো সামাজিক মানুষ ছিল সে, তখন চায়ের দোকানের ঝাঁপ ফেলে রাখতেও সে দ্বিধা করত না।

বন্ধুটির কথা বলছি এই কারণে যে, বহু জনে মিলে তাকে বারে বারে বোঝানো সত্বেও সে ভ্যাকসিন নেয়নি। প্রথমদিকে ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে সে নানারকম যুক্তি ও কুযুক্তি হাজির করছিল। পরে যখন সবাই মিলে তাকে বলা শুরু করল, তখন “হ্যাঁ হ্যাঁ, এই তো যাব, দেখছি, কবে যেতে পারি” করতে থাকলো।

সবাই তাকে বুঝিয়ে ছিলো। কারণ সে ছিল অতিরিক্ত মাত্রায় ডায়াবেটিক। কয়েক বছর আগে আরো অন্যান্য অসুখে অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিল। পরে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরে। তাছাড়া চায়ের দোকানে পঞ্চাশ রকম লোকজন আসে। তাদের সংস্পর্শে করোনা সংক্রমণের ভয় তো ছিলই। কিন্তু ভ্যাকসিন নিতে দোনামোনা করতে করতেই করোনার আক্রমণে কাহিল হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো সে। তারপর টানা ১৫ দিন ধরে লড়াই চলল আইসিইউতে। কিন্তু তার আর ঘরে ফেরা হলো না।

চায়ের দোকানটি বন্ধ হয়ে আছে। বোধহয় আর কোনওদিনই খুলবে না।
আমার আন্দাজ ভ্যাকসিন নিতে সে ভয় পেয়েছিল। মুখে স্বীকার করেনি, কিন্তু যখন প্রশ্ন করেছিলাম করোনায় ভয় নেই, ভ্যাকসিনে ভয়? সে কোনো তর্ক করেনি, কোনো জবাবও দেয়নি। আজ সে বেঁচে নেই। তার মনের মধ্যে কেন ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভয় অথবা সন্দেহ দানা বেঁধেছিল, তার উত্তর খুঁজতে যাওয়া বৃথা।

জানি, অনেকেই হয়তো বলবেন, আপনার বন্ধুটি ভ্যাকসিন নিলে কি করোনার আক্রমণ থেকে বেঁচে যেতেন? আপনি কি এই গ্যারান্টি দিতে পারেন? আমি কে গ্যারান্টি দেওয়ার? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত কাম্য।

বেশি নয় মাত্র একজনের মতামত এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করছি। তিনি Dr Antony Fauci। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং সেদেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এর প্রধান। ইনি বিগত টানা সাতজন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।

এনবিসি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে Dr Fauci জানিয়েছেন, “গত জুন মাসে করোনার সংক্রমণ যে ১০ হাজার মার্কিন নাগরিক মারা গেছেন, তার মধ্যে ৯৯.২% ভ্যাকসিন না নেওয়া এবং ০.৮% মানুষ মারা গেছেন ভ্যাকসিন নেওয়া সত্বেও। কোন ভ্যাকসিনই পুরো পারফেক্ট নয়। কিন্তু আমরা যখন হাসপাতাল ও মৃত্যুকে এড়াতে চাইছি ,তখন এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুখ এড়ানো যেত এবং প্রতিরোধ করা যেত।”


যদিও এত দায়িত্বশীল একজন মানুষ সম্পর্কে খোদ আমেরিকাতে অনেকের এলার্জি আছে। দুবেলা এই ব্যক্তির মুণ্ডপাত করছেন এমন মানুষ রয়েছেন আমেরিকায়। সে কথায় পরে আসছি।

তার আগে যেটা বলার শুধু আমার বন্ধুটি নয়, আমার আপনার চারপাশে, এই রাজ্যে, এই দেশে এবং বিশ্বের সকল প্রান্তে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রশ্নে বড় অংশের মানুষের মধ্যে hesitancy বা দ্বিধা রয়েছে। অনেকে ভ্যাকসিনকে, resist বা প্রতিরোধ করতে সংকল্পবদ্ধ।

আমাদের দেশের কথাই ধরা যাক আগে। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে: ভারতের সবথেকে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের একটি গ্রাম। নাম জামসতি। সেই গ্রামের বাসিন্দারা কিছুতেই ভ্যাকসিন নিতে রাজি নন। কারণ তাঁরা মনে করেন, করোনা কেবলমাত্র শহরের অসুখ। গ্রামে এই অসুখ হয় না।

তাই ওই গ্রামে যখন একদল স্বাস্থ্যকর্মী গেলেন ভ্যাকসিন দিতে, তখন গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু কোল নিজের ঘরে তালা বন্ধ করে ছেলেপুলে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের লাগোয়া একটি জঙ্গলে গিয়ে লুকিয়ে রইলেন। যখন খবর পেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ফিরে গেছেন, তখন তিনি তার নিজের ঘরে ফিরলেন। মঞ্জুর বক্তব্য : আমি মরে যাবো তবু ভ্যাকসিন নেব না।

ভিবা সিং নামে উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি নার্স জানাচ্ছেন, “বহু গ্রামে আমাদের রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, এখনই গ্রাম ছেড়ে চলে যান নয় তো মারধোর খেতে হবে। আমরা ভ্যাকসিন দিতে আসছি দেখে অনেক গ্রামে আমাদের উদ্দেশ্যে দূর থেকে ইটপাটকেলও ছোড়া হয়েছে।

বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডাঃ টি জন জ্যাকব মনে করেন, ভারতে মহামারীর বিপদ আরো বেশি কারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতি দ্বিধা অনেক বেশি। এখনো পর্যন্ত ৬ শতাংশের কম মানুষ পুরোদস্তুর immunised হয়েছে। অর্থাৎ এ বছরের শেষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই ৩,৮৬,০০০ মানুষ ভারতে করোনায় মারা গেছেন। এটা সরকারি হিসেবে, প্রকৃত মৃত্যু এর থেকে অনেক বেশি।

সম্প্রতি ফেসবুক এবং মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ২০০টি দেশে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মনে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রশ্নের দ্বিধা কেন তা খুঁজে বের করা। ভারতেও এই সমীক্ষা হয়। প্রশ্নটা ছিল এক্ষুনি ভ্যাকসিন দেওয়ার সুযোগ পেলে আপনি ভ্যাকসিন দেবেন কি?

উত্তরে বিপুল অংশের মানুষ সরাসরি “না” বলেছেন। সবথেকে বেশি মানুষ “না” বলেছেন তামিলনাড়ুতে (৪০%), তারপরে পাঞ্জাব (৩৩%), হরিয়ানা (৩৩%), গুজরাট (২৯%) ইত্যাদি। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, “অন্যেরা আগে ভ্যাকসিন নিক, আমরা পরে নেব”(৪২%), “অন্যদের দরকার, আমার দরকার নেই”(৩৫%), “ভ্যাকসিন নিলে সাইড এফেক্ট হবে”(৩৪%), “ভ্যাকসিনে কোন কাজ হবে না”(২১%), “ভ্যাকসিনে বিশ্বাস নেই” (১১%)।

করোনা আবির্ভাবের অনেক আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, বিশ্বের স্বাস্থ্য সংকটের প্রথম দশটি কারণের মধ্যে একটি হলো, ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতি বিরাট অংশের মানুষের মধ্যে অনীহা।
ভারতের মতো দেশে এই ধরনের মানসিকতা যে বেশি পরিমাণে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ এখনও আমরা নিরক্ষরতা, পশ্চাৎপদতা, কুপমন্ডুকতার অন্ধকার থেকে দেশের বিপুল অংশের মানুষকে উদ্ধার করতে পারিনি।

ইউরোপে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে অথবা ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু যে অনীহা ছিল, তাই নয়, রীতিমতো প্রতিরোধ করার মানসিকতা ছিল। বিশেষ করে জল বসন্তের টিকা গরুর শরীর থেকে নিয়ে তৈরি হওয়ার কারণে মানুষের মনের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

আবার অনেকে মনে করত এই মহামারী ঈশ্বর প্রেরিত। মানুষ ভ্যাকসিন তৈরি করে ঈশ্বরের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। আবার একশ্রেণীর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অন্যায় ও অসংবেদনশীল আচরণের জন্য বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে এক ধরনের বৈরিতার জন্ম হয়েছিল। কিন্তু এ তো গেল আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগেকার কথা।

পৃথিবীর সব থেকে উন্নত সবথেকে ধনী দেশ আমেরিকাতে আজও বহু মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না শুধু নয়, ভ্যাকসিন নেওয়া প্রতিরোধ করছেন।

Dr Fauci বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রতিরোধের এই চেষ্টা “দুঃখজনক” এবং “দুর্ভাগ্যজনক”।

এই প্রতিরোধ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ,রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে। ওয়াশিংটন পোস্ট এবং এবিসি নিউজ এর থেকে করা এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৮৬ শতাংশ ডেমোক্রেট সমর্থক একটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সেখানে রিপাবলিকান সমর্থকরা নিয়েছেন মাত্র ৪৫ শতাংশ। যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাঁদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ মনে করেন Dr Fauci করোনার এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিপদ সম্পর্কে বাড়িয়ে বলছেন। তিন-চতুর্থাংশের কিছু বেশি মানুষ মনে করেন, করোনা রোগাক্রান্তের সংস্পর্শে এলেও সংক্রমণের কোনো আশঙ্কা নেই।

Dr Fauci কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর আক্রমণে কি আমেরিকাতে আবার মহামারী আগের মতোই মারাত্মক চেহারা নেবে? জবাবে তিনি বলেছেন, আমার মনে হয় না গোটা দেশজুড়ে ওই রকম অবস্থা তৈরি হবে, কারণ সৌভাগ্যবশত আমরা জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি। সুতরাং সংক্রমণ যদি ছড়ায় সেটা আঞ্চলিক স্তরে হবে। (আমেরিকায় ১ জুলাই পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত বয়স্কের ৬৬.৮ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশকে ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দেওয়া সম্ভব পর হয়েছে।)

Dr Fauci র মতে, “আমরা আগামী দিনে দু’রকমের আমেরিকা দেখতে পাবো। আমেরিকার (Ameica) যেসব অঞ্চলে বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে সেখানে সংক্রমণ হবে কম। কিন্তু কিছু জায়গায়, কিছু রাজ্যে কিছু শহরে কিছু এলাকায় যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে কম, সেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হবে উচ্চহারে।”


দি গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিনস বলেছেন, যেভাবে আমেরিকার এভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানদের মধ্যে ভ্যাকসিন এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মানসিকতা দেখা দিচ্ছে তা “মন ভেঙে দেয়”। আসলে কলিনস নিজে একজন একনিষ্ঠ খ্রিষ্টান। তিনি বলেছেন, “যা আমাদের প্রাণ রক্ষা করবে তাই নিয়ে নোংরা রাজনীতি চলছে, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব চলছে।”

Dr Fauci বলছেন,” এ কথা ঠিক যে ভ্যাকসিন যারা নিয়েছেন তাঁদের সকলেরই একরকম শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়না, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কেউ কেউ অসুস্থ হয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত মারা গিয়েছেন। কিন্তু যে বিপুল অংশের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁরা কিন্তু ভ্যাকসিন না নেওয়া অবস্থাতেই বিপদে পড়েছেন। তাই আমরা বলছি এই বিপদ পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব।

যে কোনো কারণেই হোক, কেউ হয়তো মতাদর্শগত কারণে, কেউ হয়ত একেবারে মূলগতভাবে ভ্যাকসিন বিরোধী অথবা বিজ্ঞানবিরোধী অথবা যা হোক কিছু হতে পারেন। কিন্তু এগুলোকে এখন পাশে সরিয়ে রাখতেই হবে। এই মহামারীর মধ্যে আমরা এক ঐতিহাসিক পরিস্থিতির মুখোমুখি। এবং সেই মহামারীর মোকাবিলা করার হাতিয়ার আমাদের হাতে আছে। অতএব ঈশ্বরের দোহাই, দয়া করে এসব মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রাখুন এবং উপলব্ধি করুন আমাদের অভিন্ন শত্রু এই ভাইরাস।”

তবু Dr Fauci যতটা নিশ্চিন্ত জায়গায় আছেন, আমরা কি আছি? এই লেখা যখন লিখছি তখন পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার মাত্র ৫.৯ শতাংশ মানুষ পুরোদস্তুর ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কেউ হয়তো বলবেন, অনেকের ভ্যাকসিন নিতে অনীহা আছে ঠিকই, কিন্তু যারা নিতে চান তাঁরা কি পাচ্ছেন? সে তো ঠিক কথা। ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা সবথেকে বড় বাধা হিসেবে যে দেখা দিয়েছে এ বিষয়ে তো কোনো সন্দেহই নেই।


গোটা আফ্রিকা মহাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১ মাসে ১০লক্ষ মানুষ আক্রান্ত। কঠিন পরিস্থিতি বিশেষত নামিবিয়া ও টিউনিশিয়া তে। এখনো পর্যন্ত এই মহাদেশে ১ শতাংশ মানুষও পুরোদস্তুর ভ্যাকসিন এর আওতায় আসেনি। আগামী এক বছরের মধ্যে ওই মহাদেশে ২০ শতাংশ ভ্যাকসিন দেওয়া র লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অসম্ভব এই মুহূর্তে।

Youyang Gu একজন বিশিষ্ট data scientist. তাঁকে উদ্ধৃত করে বিখ্যাত নেচার পত্রিকা এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনার বিরুদ্ধে herd immunity-র পর্যায়ে পৌঁছানো আর সম্ভব নয় বলেই মনে হচ্ছে। এর কারণ ভ্যাকসিন নিতে দ্বিধা বা অনীহা, নতুন ভেরিয়েন্ট এর আবির্ভাব এবং শিশুদের উপযোগী ভ্যাকসিন এসে পৌঁছানোর বিলম্ব। কি হবে তাহলে?

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img