(নারকেলের বহুবিধ উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে এই লেখাটি যতটা সম্ভব শেয়ার করুন। এতে অনেক ক্যান্সার রোগী উপকৃত হতে পারেন।)
চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কম নয়। নারকেলের মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে মুক্তির নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বলছেন মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ডিরেক্টর রাজেন্দ্র অচ্যুত বাড়বে(Rajendra Achyut Badwe)। চিকিৎসায় হতাশ ক্যান্সার আক্রান্তদের তিনি নিয়মিত নারকেলের ফোটানো গরম জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতেই নাকি জব্দ হবে ক্যান্সার। তাঁর মতে, নারকেলের গরম জল ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করে। এই জল একজন ক্যান্সার আক্রান্তের জীবন বাঁচাতে পারে। ক্যান্সারের কোষ নষ্ট করে। এতে অন্য কোষের কোনও ক্ষতি হয় না। নিয়মিত নারকেল খেলে স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
এক কাপ গরম জলে দু/তিনটে পাতলা নারকেলের টুকরো ফেললে, সেই জল ক্ষারক হয়ে যায়। নারকেলের এই ক্ষারীয় রস আলসার এবং টিউমার নষ্ট করে। এছাড়া নারকেলের অ্যামিনো অ্যাসিডের পলিফেনল উচ্চ রক্তচাপ কমায়, রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং থ্রম্বসিস থেকে রক্ষা করে। এই জল রোজ খেলে খুব উপকার হয়। ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন এই আবিষ্কার ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে।
শুধু ক্যান্সার চিকিৎসা নয়, নারকেলের জল ও শাঁসের অনেক উপকারিতা রয়েছে। নারকেলের দুধ এবং তেল পুষ্টিগুণে ভরপুর। নারকেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলে থাকে ৩৫৪ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম ফ্যাট, ২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩৫৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ ও বি১২ আছে।
নারকেলে বেশি ক্যালোরি থাকায়, তা দ্রুত শরীরে শক্তি জোগায়। তাই কাজের মাঝে ক্লান্তি এলে বা হালকা খিদে পেলে নারকেল খেলে তাৎক্ষণিক অ্যানার্জি বাড়বে। নারকেল হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের সমস্যা দূর করে।
নারকেল রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত নারকেল খেতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নারকেল হাড়ের উন্নতি সাধন করে। এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হাড়সহ দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। একইসঙ্গে অস্টিওআর্থারাইটিস, অস্টিওপোরোসিস এবং যে কোনও হাড়ের রোগ সারায়।
হজম প্রক্রিয়ায়ও সহায়তা করে নারকেল। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়। নারকেলের দুধ লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। একইসঙ্গে হেপাটাইটিস সি, জন্ডিস ও লিভারের বিভিন্ন অসুখ সারাতে নারকেল দুধ কার্যকরী।