মাদার টেরিজার জন্মদিনে তাঁর স্মৃতিকে ঘিরে একটি প্রার্থনা সংগীত প্রকাশিত হলো কলকাতার বিঠোভেন রেকর্ড কোম্পানি থেকে। গানের কথা লিখেছেন ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ড. নাজিয়া খানম। সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন কলকাতার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও সুরকার সৌম্যেন অধিকারী। মাদার টেরিজাকে নিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের কথায় কলকাতার কোন সুরকার ও শিল্পীর গান প্রকাশিত হলো।
গানের কথায় মাদার টেরিজার সারা জীবন মানুষের সেবার নিয়োজিত জীবনব্রতর কথা লেখা আছে। ড. নাজিয়া খানমের কথায় আরও তিনটি ব্যতিক্রমী বাংলা গান এই অগাস্ট মাসে প্রকাশিত হয়েছে। সেই গানগুলি হল, “মন আমায় নিয়ে চল”, “রোজ ভোরে মন বলে” এবং “আজকে আমি গাইবো যাঁদের গান “। এই তিনটি গানের প্রকাশক রাগা মিউজিক ও বিঠোভেন রেকর্ডস এবং সুরকার ও শিল্পী সৌম্যেন অধিকারী।
গানগুলির গীতিকার নাজিয়া খানম ইংল্যান্ডের ওবিই, ডিএল সম্মানে ভূষিত। এছাড়া তিনি একজন বাংলাদেশী ব্রিটিশ ব্যবস্থাপনা পরামর্শক, গবেষক, বৈচিত্র্যময় সমতার পরিচালক, লুটনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সদস্য।
এছাড়া তিনি লুটনের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘পূর্বাচলের’ সম্মানীয় চেয়ারপার্সন। এই গানগুলির সুরকার সৌম্যেন অধিকারী পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও সুরকার। তিনি ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের সংগীত জগতে সমদৃত একটি নাম। তিনি কিংবদন্তী শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্নেহধন্য এবং ১৯৯২ সালে ‘হেমন্ত স্মৃতি পুরস্কার’-এ ভূষিত। এছাড়া ১৯৯৪ সালে উত্তম কুমার অ্যাওয়ার্ড সহ দেশ বিদেশের অজস্র পুরস্কার পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৫৬ টি মিউজিক অ্যালবামে কন্ঠ দান করেছেন।
দেশের সাথে বিদেশে প্রবাসী বাঙ্গালীদের সঙ্গীত মহলে তিনি সমান জনপ্রিয়। সংগীত পরিবেশন করেছেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, সুইডেন, আমেরিকা, কানাডা, নিউজিল্যান্ড , বাংলাদেশসহ নানা দেশে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলা সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য ২০২২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ঐতিহ্যবাহী জুবিলী হলে ‘ দর্পণ ‘ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। কাজেই ব্রিটিশ নাগরিক ড. নাজিয়া খানমের লেখা গানে সৌম্যেনের সুর ও কন্ঠ বিলেত ও বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো।