হোমকলকাতাAllen's Kitchen : বঙ্গভোজের স্কটিশ ইতিকথা

Allen’s Kitchen : বঙ্গভোজের স্কটিশ ইতিকথা

Allen’s Kitchen : বঙ্গভোজের স্কটিশ ইতিকথা

দেবস্মিতা নাগ
সুদূর স্কটল্যান্ডের সাহেব Mr. Allen ১৩০ বছর আগে কলকাতার চিৎপুরের অ্যালেন মার্কেটে খুলেছিলেন একটি ছোট খাবারের দোকান। নাম ছিল Allen’s Kitchen। প্রায় পৌনে এক শতাব্দী পর 1958 সালে জীবনকৃষ্ণ সাহার হাত ধরে নতুন চেহারায় যাত্রা শুরু করে Allen’s Kitchen। বন্ধ করে দেওয়া হয় শহরের অন্য ৫টি আউটলেট। শুধুমাত্র চালু রাখা হয় যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউয়ের দোকানটি।

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের (Central Avenue) উপর গ্রে স্ট্রিট মোড় থেকে ধর্মতলার দিকে এগোলে বাঁ দিকে মিলবে দোকানটি। বর্তমান মালিক মানিকলাল, হীরালাল ও বীরেন সাহার চার প্রজন্ম আগে জীবন কৃষ্ণ সাহা স্পেনসেস হোটেল ছেড়ে এই দোকানে কাজ করতে এসেছিলেন। Allen সাহেব দেশ ছাড়ার সময় তাঁর হাতেই দোকানের স্বত্ব অর্পণ করে যান। সেই থেকেই স্কটিশ ইতিহাস বুকে নিয়ে কলকাতার কোলে দাঁড়িয়ে আছে Allen’s Kitchen।

বর্তমানে দোকানটিতে প্রায় 20টি স্ন্যাক্স পাওয়া যায়।সবগুলোতেই রয়েছে Anglo Indian রেসিপির ছোঁয়া। খাদ্যরসিকদের মতে, দোকানের সেরা খাবার প্রন কাটলেট। এ ছাড়াও রয়েছে চিকেন-মাটন স্টক, মাছ মাংসের পুর দেওয়া রকমারি চপ, কবিরাজি কাটলেট, ডেভিল, রোল ইত্যাদি। তাবড় তাবড় শিল্পী-সাহিত্যিক, মন্ত্রী-আমলা, অভিনেতা থেকে খেলোয়াড় কেউই এই রসে বঞ্চিত রাখেননি নিজেকে। দামি দামি গাড়ির লাইন পড়ে যায় Allen সাহেবের রান্নাঘরের দরজায়।

দোকানের খাবারের স্বাদরহস্য লুকোনো আছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই। তবে এখানকার খাদ্যের একটা বৈশিষ্ট্য হল এই যে, এই স্ন্যাক্সগুলি সবই ঘিয়ে ভাজা, তেলে নয়। অন্যান্য দোকানের তুলনায় এখানকার খাদ্য তালিকা যথেষ্ট ছোট। দোকানের অঙ্গসজ্জাতেও নেই বিশেষ জৌলুস। সেই সুপ্রাচীন মার্বেলের টেবিলে বসেই খান খদ্দেররা। তবু শুধুমাত্র এখানকার খাবারের ইন্দো স্কটিশ স্বাদ দোকানটিকে অন্যান্য সমস্ত রেস্তোরাঁ থেকে স্বতন্ত্র করে রেখেছে। এখানে বসে খেলে টাইম মেশিনে চড়ে ব্রিটিশ ভারতে ফিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা মুফতে মিলবে।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img