বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনে বিপুল জয় পেলেন বর্তমান কর্মকর্তারা। গত ১৬ মার্চ পরিষদের ১৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের ভোটাভুটি হয়।
পরিষৎ-সম্পাদক রমেনকুমার সর বলেন, “বিগত কয়েক বছর ধরে একদল ক্ষমতালোভী মানুষ নানাভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন। বার্ষিক সাধারণ সভায় মাননীয় পরিষৎ-সদস্যরা গোপন ব্যালটে ভোটদানের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা কাজ চান, কুৎসা চান না।”
তিনি জানান, “গত এক বছরে পরিষদের চিত্রশালাকে (মিউজিয়ম) নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পরিষৎ-এর অধীনে থাকা টালাপার্কে কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের বাইরের অংশ মেরামত করে রং করা হয়েছে। নিয়মিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে পরিষৎ পত্রিকার নিয়মিত সংখ্যা প্রকাশের পাশাপাশি পাঁচটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে; যার কোনো কোনোটির দ্বিতীয় এমনকী তৃতীয় মুদ্রণ পর্যন্ত হয়েছে।”
পরিষৎ-সভাপতি রতনকুমার নন্দী বলেন, “প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে পরিষৎ ১০ কোটি টাকার যে কর্পাস ফান্ড পেয়েছিল, আমরা নাকি তা নয়ছয় করেছি। অথচ প্রকৃত তথ্য ওই টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার পরিষদের কোনও কর্মকর্তার নেই। ওই টাকার সুদ কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করতে পারি, তাও নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে।”
সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য বলেন, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ বাঙালির জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এক সারস্বত প্রতিষ্ঠান। অপপ্রচার কুৎসা বন্ধ হোক। পরিষৎ এগিয়ে চলুক তার কাজের মধ্য দিয়ে।