উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার আড়িয়াদহ এলাকার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হোলি চাইল্ডের ছাঁটাই হওয়া বাংলার শিক্ষিকাকে আবার কাজে ফিরিয়ে নিল কর্তৃপক্ষ। সোমবার একটি সংগঠনের বিক্ষোভকে ঘিরে স্কুল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর ওই স্কুলে যান ‘বঙ্গযোদ্ধা’ নামে অন্য একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওই স্কুলটির ইন-চার্জ কমলেশ ঘোষ। কমলেশবাবু জানান, ওই শিক্ষিকাকে সসম্মানে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, বঙ্গযোদ্ধার পক্ষে বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “চিৎকার, চেঁচামেচি ছাড়াও যে আন্দোলন করা যায়, তার প্রমাণ হল, আজকের এই ইতিবাচক বৈঠক।”
অরিন্দমবাবু আরও বলেন, “স্কুলের দারোয়ান, শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে প্রিন্সিপাল পর্যন্ত, সবাই বাঙালি। কোনওরকম অবহেলা নয়, বরং বাংলা ভাষার প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল বলে কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছেন।”
আজ সকালেই কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানে স্কুলের ইনচার্জ এবং বাংলার ওই শিক্ষিকা ছাড়াও হাজির ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দীপাংশু ঘোষালও। এই বৈঠকেই বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। মদনবাবু পরে সাংবাদিকদের বলেন, স্কুলে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে কোনওরকম বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। সেরকম হলে, তিনি পাল্টা পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন মদনবাবু।
গত শনিবার ওই শিক্ষিকাকে হঠাৎ চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া ছাঁটাইয়ের চিঠিতে ভুল লেখা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোড়ন তৈরি হয়।
বাংলার ‘পড়ুয়ার সংখ্যা’ প্রায় নেই লিখতে গিয়ে, কর্তৃপক্ষ ভুল করে ‘বাংলা ভাষা’র অস্তিত্ব প্রায় নেই লিখে ফেলেছিল। পরে ভুল সংশোধন করে শিক্ষিকাকে আবার চিঠি পাঠানো হয়েছিল।