হোমরাজ্যবাংলায় পুরোপুরি লকডাউন কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? বাড়ছে জল্পনা

বাংলায় পুরোপুরি লকডাউন কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? বাড়ছে জল্পনা

বাংলায় পুরোপুরি লকডাউন কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? বাড়ছে জল্পনা

রাজ্যে ইতিমধ্যে আংশিক লকডাউন চালু হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি সর্বাত্মক লকডাউনের পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার? গত বছরের মতোই যানচলাচল, ট্রেন, মেট্রো সব কি বন্ধ করে দেওয়া হবে?

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে পুরোপুরি লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আমলার কথায়, “করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপাতত আংশিক লকডাউন জারি করা হল। তবে পরিস্থিতি না বদলালে, সরকারকে শেষ অস্ত্র হিসেবে সর্বাত্মক লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে।”

সরকারি সূত্রে খবর, আপাতত এক থেকে দুই সপ্তাহ আংশিক লকডাউনের ফল কী দাঁড়াচ্ছে, তার ওপর নজর রাখা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে, আংশিক লকডাউন আরও বেশ কিছুদিন বহাল রাখা হবে। কিন্তু অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেলে, তখন পুরোপুরি লকডাউন করতেই হবে।

কেন্দ্র বা রাজ্য, কোনও সরকারই পুরোপুরি লকডাউনের পক্ষপাতী নয়। কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের রুজিরুটিও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শেষ বিকল্প হিসেবে লকডাউনের কথা বলেছেন। তবে একশ্রেণীর মানুষের বেপরোয়া মনোভাব সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তাদের নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। তাতেও কাজ না হলে, লকডাউনের পথে যাওয়া ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনও উপায় থাকবে না।

রাস্তায় মানুষের ভিড় কমাতে শুক্রবার থেকেই আংশিক লকডাউন চালু হয়ে গিয়েছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,
১. শপিং মল, জিম, স্পা, বার, রেস্তোরাঁ, পার্লার, সিনেমা হল, সুইমিং পুল, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
২. সমস্তরকম জমায়েত নিষিদ্ধ
৩. বাজার, হাট সকাল ৭ থেকে ১০টা, বিকেল ৩ থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
৪. ওষুধের দোকান ও মুদির দোকানকে ছাড়
৫. সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক সব অনুষ্ঠান বন্ধ।

শুক্রবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img