করোনার টিকাকরণে নয়া মাইলস্টোন পেরিয়ে গেল ভারত। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, দেশে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০০ কোটির বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। এ বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “১০০ কোটি দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন হল। এটি ঐতিহাসিক ঘটনা।”
উল্লেখযোগ্য হল, টিকাকরণে প্রশংসনীয় কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পরই তিন নম্বরে রয়েছে বাংলা।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজ্যে টিকা পেয়েছেন ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৬১৭ জন। পশ্চিমবঙ্গে এখন ১৮ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটির বেশি। ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২৬ জনকে বাংলায় টিকার দুটি ডোজই দেওয়া হয়েছে।
টিকাকরণের নিরিখে শীর্ষে থাকা উত্তরপ্রদেশে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ২১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৫৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গুজরাত ৪ নম্বরে এবং মধ্যপ্রদেশ পাঁচে রয়েছে।
কেন্দ্রের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি প্রথম টিকা পেয়েছেন। আর দুটি ডোজই পেয়েছেন ৩১ শতাংশ মানুষ।
আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে (জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ, গোয়া এবং লাক্ষাদ্বীপ) ১০০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের এই টিকাকরণের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিনের সংখ্যার দ্বিগুণ, জাপানের চেয়ে পাঁচগুণ, জার্মানির চেয়ে নয়গুণ এবং ফ্রান্সের ভ্যাকসিনের মাত্রার ১০ গুণ।
১০০ কোটির গণ্ডি পেরোতে সময় লেগেছে ৯ মাস লেগেছে। এই উপলক্ষে সরকার বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কৈলাশ খেরের কণ্ঠে গান এবং দিল্লির লালকেল্লায় ১৪০০ কেজি ওজনের দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।