ওরা ফুটবলার তৈরির কারিগর। তাঁদের হাত ধরেই কলকাতা ময়দানে উঠে এসেছেন বহু প্রথিতযশা ফুটবলার। কিন্তু পর্দার আড়ালে থাকা এইসব কোচেদের কোনও স্বীকৃতি জোটে না। বছরের পর বছর ধরে তাঁরা ব্রাত্যই থেকে যান।
নীরবে ফুটবলার তৈরির ব্রত নিয়ে কাজ করে চলা কোচদের সম্মানিত করল ফেডারেশন অফ ফুটবল কোচেস ইন ইন্ডিয়া (এফএফসিআই)। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অমিতাভ ঘোষ, বলরাম মাতারি, বিদ্যুৎ কুমার পাল, মজনুর খান, সন্তোষ হাজরা, হেম দাস, মদন সিং রাঠৌর, প্রদীপ দাস সহ বেশ কয়েকজন কোচকে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতীত দিনের ময়দানে কাঁপানো ফুটবলার শ্যাম থাপাকে জীবন কৃতি সম্মান প্রদান করা হয়। শ্যাম বলেন, “কোচিং হল একটা শিল্প। বড় ফুটবলার হলেই, বড় কোচ হওয়া যায় না। অথচ কোচেদের স্বীকৃতি জানানোর মতো তেমন কোনও মঞ্চ নেই।”
অনুষ্ঠানে গত শতাব্দীর সত্তর ও আশির দশকের অন্যতম তারকা ফুটবলার হরজিন্দর সিংকে বিশেষ স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এছাড়া, ডঃ রোহিত পরাশর, আজাজ আহমেদ ভাট এবং সাজিদ ইউসুফ দারের হাতেও স্মারক তুলে দেওয়া হয়। আইএফএ-র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত তাঁর ভাষণে ভালো খেলোয়াড় তৈরির পাশাপাশি সু-প্রশিক্ষিত কোচের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
এফএফসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় ব্যানার্জি জানান, কোচেদের জন্য ন্যূনতম পেনশন চালুর আর্জি জানিয়ে এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে কোচেদের জন্য ন্যূনতম ভাতা চালুরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস মুখার্জি, মৃদুল ব্যানার্জি, অনন্ত ঘোষ, অভিজিৎ মন্ডল, অনীত ঘোষ প্রমুখ।