হোমঅন্যান্যহেমন্ত ও এক বিদেশিনীর যুগলবন্দি, এবার সিডি-তে 'সে কি ভোলা যায়'

হেমন্ত ও এক বিদেশিনীর যুগলবন্দি, এবার সিডি-তে ‘সে কি ভোলা যায়’

হেমন্ত ও এক বিদেশিনীর যুগলবন্দি, এবার সিডি-তে ‘সে কি ভোলা যায়’

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ১০২তম (১৬ জুন) জন্মদিন। এই উপলক্ষে ‘হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্মরণ কমিটি’র উদ্যোগে প্রকশিত হচ্ছে শিল্পীর গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের লাইভ রেকর্ডিং-এর সিডি “সে কি ভোলা যায়”। সারা জীবন তাঁর গানের অসংখ্য অনুষ্ঠান শুনেছেন শ্রোতারা, কিন্তু এমন কখনও কি হয়েছে তিনি কোনও বিদেশিনীর সঙ্গে গাইছেন? তাও আবার রবীন্দ্রসঙ্গীত? না ভূ-ভারতে এমনটি ঘটেনি কখনও। এই একবারই তিনি গেয়েছিলেন রবীন্দ্রসদনে তাঁর গানের বিশেষ অনুরাগী ব্রিটিশ তনয়া জ্যানেট ফে সিমান্স-এর সাথে তাঁর প্রাণের শহর কলকাতায়, ১৯৮২তে।

সযত্নে ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা এই দুর্লভ লাইভ রেকর্ডিং এবার হেমন্ত অনুরাগীদের শোনার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন প্রাক্তন নগরপাল ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্মরণ কমিটির সভাপতি তুষার তালুকদার। স্মরণ কমিটির সম্পাদক সঙ্গীতশিল্পী সৌম্যেন অধিকারীর বিশেষ উদ্যোগে এটি প্রকাশিত হচ্ছে। সিডি-র প্রাক্ কথনে রয়েছে দেবাশিস বসু ও তুষার তালুকদারের কণ্ঠে এই দুর্লভ লাইভ রেকর্ডিং-এর বিস্তারিত ইতিহাস। জীবনে এই প্রথম কোনও বিদেশিনীর সঙ্গে একই মঞ্চে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের একক ও দ্বৈতকণ্ঠে গান , সত্যি ভোলার মত ঘটনা নয়। তাই তো  “সে কি ভোলা যায়” সিডি-র নামকরণ সার্থক।

ইতিমধ্যেই স্মরণ কমিটি প্রকাশ করেছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘শতবর্ষ স্মারক গ্রন্থ’ এবং আরও দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের দুর্লভ লাইভ অনুষ্ঠানের সিডি ‘গাহি বসে তব গান’ এবং ‘পিছু ডাকে’। বিগত দুটি বছর করোনার প্রভাবে কমিটির বর্ষব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান বাতিল হলেও, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে নিয়মিত তারা ইউ টিউবে প্রকাশ করেছে দেশবিদেশের গুণীজনদের কথায় ও গানে অনুষ্ঠান ‘আমাদেরই হেমন্ত’ শীর্ষক অনুষ্ঠান, যা আজ সারা বিশ্বের হেমন্ত অনুরাগী মহলে অতি জনপ্রিয়। কমিটির আগামী পরিকল্পনায় রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের লেখা সমগ্র গল্পপাঠের সংকলন ও শিল্পীর অপ্রকাশিত ছবির বই এবং পূর্ণাঙ্গ গানের তালিকা প্রকাশ।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img