করোনার ক্ষত এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলার ঐতিহ্যবাহী কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস। এখনও প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করে চলেছেন এখানকার কর্মীরা। তবে করোনার কঠিন সময়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে নজির গড়েছে রাজ্যের সমবায় দফতর। সমবায় দফতরের এই উদ্যোগের জন্য শুক্রবার মন্ত্রী অরূপ রায়কে সম্বর্ধনা দিল ইন্ডিয়ান কফি হাউস ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড।
কফি হাউসের ভিতরে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করা হল। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক। তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে অরূপ রায় কফি হাউসের সঙ্গে কলকাতা তথা রাজ্যের মানুষের আত্মিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। আগামী দিনেও কফি হাউসের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। কর্মীদের আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, “এই সংস্থাকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে ব্যাপারে আমি স্থানীয় সাংসদের সঙ্গেও কথা বলব।”
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিধায়ক তাপস রায়ও। স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত কফি হাউসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন তাপসবাবু।
করোনা পর্বে কফি হাউসকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছিল সমবায় দফতর। এই সাহায্যের জন্য এই দফতর তথা মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইন্ডিয়ান কফি হাউস ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক তপন পাহাড়ি।
লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতেই কফি হাউসের আড্ডা জমে উঠতে শুরু করেছে। এ প্রজন্মের তরুণ-তরুণী থেকে নানা বয়সী মানুষজন আবার ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। সম্বর্ধনা হলেও, কফি হাউসে শুক্রবারও ভিড় কম ছিল না। তবে আগের সেই ছবি এখনও ফেরেনি, বললেন তপনবাবু। বললেন, করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে যেখানে প্রতিদিন গড়ে দেড় লক্ষাধিক টাকার ব্যবসা হত, এখন তা ৫০-৬০ হাজারে নেমে এসেছে।